মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন

বিশ্বকাপে উগান্ডার প্রথম জয়

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৬ জুন, ২০২৪
  • ১০৩ Time View

স্টাফ রিপোর্টার : আজ সকালে প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে উগান্ডা বিশ্বকাপ ক্রিকেটে তাদের প্রথম ঐতিহাসিক জয়ের দেখা পেয়েছে। অলিম্পিকে উগান্ডার অ্যাথলেটরা চারটি সোনাসহ ১১টি পদক জিতলেও দলীয় খেলায় এই দলটি সব সময়ই মুখ থুবড়ে পড়ে। সেটা হোক ফুটবল, নেটবল কিংবা রাগবি। দলীয় খেলায় ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলাই তাদের সেরা অর্জন। এখন মিলল প্রথম জয়ও।

টস জিতে পাপুয়া নিউগিনিকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। ব্যাট হাতে ১৯.১ ওভারে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। জয়ের জন্য উগান্ডার লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭৮ রান। তবে আফ্রিকার এই দু’দলের মধ্যে যে শক্তি-সামর্থ উনিশ-বিশ তা উগান্ডার ব্যাটিংয়ের সময় পরিরক্ষিত। ১৪.২ ওভারে ৭৮ রান তুলতে গিয়েই উগান্ডান ৭ ব্যাটার প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তা সত্তে¡ও পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ৩ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় পায় উগান্ডা।

উগান্ডার জয়ে যে মানুষটির হারকিপটে বোলিং গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা রেখেছে তিনি হলেন স্পিনার ফ্র্যাঙ্ক এনসুবুগা। এনসুবুগার ৪ ওভার বোলিং করে দুটি মেডেনসহ মাত্র ৪ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন দুই উইকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে যা সবচেয়ে কিপটে স্পেল (৪ ওভারের স্পেল)। এর আগে সবচেয়ে কিপটে স্পেলের রেকর্ড ছিল আনরিখ নর্কিয়ার।

এই বিশ্বকাপেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ ওভার বোলিং করে ৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন নর্কিয়া। এই তালিকায় আছেন বাংলাদেশের মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ৪ ওভার বোলিং করে ২০১৪ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮ রান দিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার।

১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল বাংলাদেশ, সেই টুর্নামেন্টেই ১৬ বছর বয়সে অভিষেক হয় তার। বিশ^কাপে একটি ম্যাচ খেলার জন্য সেই এনসুবুগাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৭ বছর।

আজ যেমন হয়েছেন উগান্ডার স্পিনার ফ্র্যাঙ্ক এনসুবুগা। এনসুবুগার ভালোবাসাটা একতরফা ছিল না। একতরফা হলে তো বিশ্বকাপ তাঁকে রেকর্ড দিয়ে বরণ করে নিত না!
এনসুবুগা ৪ ওভার বল করে ২০টি বলই করেছেন ‘ডট’। এমনিতেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি মেডেন ওভার রেকর্ড ছিল তার। আজ সেটিকে আরও ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেলেন। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এনসুবুগা মেডেন দিয়েছেন ১৭টি। তালিকার দুইয়ে কেনিয়ার শেম ওবাদো এনগোচে, মেডেন নিয়েছেন ১২টি।

বিশ্বকাপের আগেই অবশ্য আরও একটি রেকর্ড গড়েছিলেন এনসুবুগা। ৪৩ বছর ২৮২ দিন বয়সী এই স্পিনারই ছিলেন এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বয়সী ক্রিকেটার। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে এনসুবুগা ছিলেন বেশি বয়সী ক্রিকেটারদের তালিকায় দ্বিতীয়। তার চেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপ খেলেছেন মাত্র একজন হংকংয়ের ৪৪ বছর ৩৪ দিন বয়সী রায়ান ক্যাম্পবেল।

এনসুবুগার অভিষেক ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি’তে ১৬ বছর বয়সে। সে আসরে তিনি খেলেছেন পূর্ব মধ্য আফ্রিকার হয়ে। তখন মালাওয়ি, তানজানিয়া, উগান্ডা, জাম্বিয়ার খেলোয়াড়েরা একসঙ্গে এই দলটির হয়ে খেলত। ১৯৯৮ সাল আইসিসি সহযোগী সদস্যের মর্যাদা পায় উগান্ডা। সেই থেকেই মূলত এনসুবুগার উগান্ডার হয়ে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখা। ২৭ বছরের অপেক্ষা আজ সাফল্যের মুখ দেখেছে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : পাপুয়া নিউগিনি ৭৭ (১৯.১), হিরি হিরি ১৫(১৯), লিগা সিকা ১২(১৭), কিপলিন ডরিগা ১২(২০), এনসুবুগা ২/৪, জুমা মিলিইয়াগি ২/১০, কসমস ২/১৭;

উগান্ডা ৭৮/৭(১৪.২), রিয়াজাত আলী শাহ ৩৩(৫৬), জুমা মিয়াগি ১৩(১৬), আলপেস রামজানি ৮(১০), অ্যালি নাগুও ২/১৬, নর্মেন ভানুয়া ২/১৯, আসাদ ভালা ১/১০।

ফলাফল : উগান্ডা ৩ উইকেটে জয়ী। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ রিয়াজাত আলী শাহ।

আপডেট সংবাদ পেতে শতাব্দীর কন্ঠ পড়ুন, শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
All rights reserved © Shatabdir Kantha . Developed by SDTT Academy & Tech Liberty