স্টাফ রিপোর্টার : বৃহত্তম ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষক উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ সম্পন্ন হয়েছে। ৩ দিনব্যাপী কৃষক উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণে অংশগ্রহন করেন কিশোরগঞ্জ জেলার ১২ জন কৃষকসহ ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও টাঙ্গাইলেরর ৫১ জন কৃষক। প্রযুক্তির দিকে ধাবিতকরণ ও টেকসই উন্নয়ন সমন্বিত করনে জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার সরকারি-বেসরকারি ও স্বপ্রণোদিত উদ্যোগতাদের বিভিন্ন কৃষি ভিত্তিক কার্যক্রম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করানো হয়েছে।
গত ২৯ মে মঙ্গলবার সকালে ময়মনসিংহ হর্টিকালচার সেন্টার মিলনায়তনে উক্ত ৪ জেলার কৃষক উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ নাজমুল হাসান ও উপপরিচালক মোস্তফা কামাল। চলমান কার্যক্রমে ময়মনসিংহ হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ ওমর ফারুক, জামালপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মুহাম্মদ আরিফুল রহমান। উদ্যান ফসল বিশেষ করে ফলের বংশবিস্তার ও সঠিক মানরক্ষা শাখা বা কলম চারা গাছ উৎপাদনে বিস্তারিত আলোচনা ও হাতে-কলমে শিক্ষণ প্রদান করেন।
এদিকে শেরপুর জেলার ভ্রমণকারী দলটিপৌছার পর ঝিনাইগাতি উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ হুমায়ুন দিলদার স্বপ্রণোদিত হয়ে কৃষকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি তার কৃষি অফিসের ছাদবাগান এবং বৃহৎ পরিসরে জনৈক কৃষকের মাধ্যেমে বাণিজ্যিকভাবে চাষকরা গোলাপ বাগান দর্শনের ব্যবস্থা করেন। কৃষি অফিসারের প্রীতিমুগ্ধ আচরণের পাশাপাশি ছাদবাগান ও বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত গোলাপ দেখে কৃষদের মনে নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়, যা ৩ দিনের ভ্রমণেপূর্ণতা পেয়েছে বলে কৃষকরা দাবি করেন।
২য় দিনে জামালপুরের বেলটিয়া এগ্রো কনপোজিট ইন্ডাষ্ট্রিজ ও টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার উপ-সহকারি কৃষি অফিসার মোঃ মনজুরুল হকের সহায়তায় সংশ্লিষ্ঠ বøকে আনারস, কলা ও পেপেঁ ত্রিফলা বাগান পরিদর্শন পূর্বক ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাষী মিলনায়তনে রাত্রিযাপন শেষে গতকাল সকালে শেরপুর গজনী অবকাশ সহ সংশ্লিষ্ট জেলা সমুহের দর্শনীয় স্থান, কৃষি ও কৃষিভিত্তিক কর্মকাÐ দর্শনের পর বিকালে উদ্বুদ্ধ করণ ভ্রমণ সম্পন্ন হয়।