কটিয়াদী, প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পানি নিষ্কাশনের নালা ব্রীজ বন্ধ করায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টিতে জনদূর্ভোগ চড়মে। সেই সাথে জলাবদ্ধতার কারণে জনচলাচলের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগী জনসাধারণের মাধ্যমে জানা যায়, উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের টান চারিয়া গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পানি নিষ্কাশনের নালা বন্ধ করে দিয়েছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতে এলাকাবাসীর চলাচলের গ্রামের ভিতরের রাস্তাটি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে জনসাধারণ, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি।
রাস্তার সংস্কারের জন্য ২০২৩ সালে সাবেক এমপি ৪ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দিলেও কোন কাজই হয়নি বলে জানান এলাকাবাসী। জলাবদ্ধতার কারণে এ এলাকার প্রায় ১০০ ঘর-বাড়ি পানিতে ডুবে রয়েছে। অত্র এলাকার অনেকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাসকারী সকল শ্রেণির মানুষের ও গোবাদি পশুর চলাচলের এই রাস্থাটি বিলুপ্তির পথে। জলে একাকার বেহাল অবস্থার ফলে জনসাধারণের ভোগান্তিরর শেষ নেই। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মল্লিক মিয়া জানান, আগে বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি এলাকার পূর্ব পাশের ব্রীজের নিচ দিয়ে নিষ্কাশন হতো। কিন্তু এই পানি নিষ্কাশনের রাস্তা মইনুদ্দিন ওরফে ময়না নামের প্রভাবশালী ব্যক্তি ব্রীজের নিচে পানি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় প্রায় ৫ একর জায়গা জুড়ে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এর ফলে মহল্লাবাসী পড়েছে মহা বিপাকে।
ভুক্তভোগী কুতুব উদ্দিনের ছেলে আল আমিন, বাদল মিয়া, ঈছমাঈল, কালাম মিয়া, রঙ্গু মিয়া, ওয়াহিদ মিয়া, ছমির উদ্দিন, আ. বাতেন, মতি মিয়া সহ আরো অনেকে জানান, আর একটু পানি বৃদ্ধি পেলে আমাদের বসত ঘরে পানি ঢুকে পড়বে । দীর্ঘদিন যাবত জনদূর্ভোগ চলে আসলেও এ সমস্যা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্বিকার।
এ বিষয়ে চান্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি অবগত আছি। তবে সুব্যবস্থার জন্য উক্ত ওর্য়াডের মেম্বার আলী আকবরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এটি নিরসনে আমি অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগী জনসাধারণ ।