ক.ম. মুহিবুল্লাহ বচ্চ, প্রতিনিধি, পাকুন্দিয়া : কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ভুয়া কাগজপত্র প্রদর্শন ও তথ্য গোপন করে মো. শহিদুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি মিরদী ফাজিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেয়েছেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে। গত ২২ আগস্ট অত্র মাদ্রাসার বিদ্যুৎসাহী সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে তদন্ত করে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
অভিযুক্ত মো. শহিদুল্লাহ পাশর্^বর্তী কাপাসিয়া উপজেলার বেলাশী গ্রামের মো. আবু তাহের এর ছেলে। তিনি গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর পাকুন্দিয়া উপজেলার মিরদী ফাজিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ৫ মার্চ একটি জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে উপজেলার মিরদী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে ওই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর মো. শহিদুল্লাহ অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পান। এরপরই তার নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। অভিযোগ উঠে।
সর্বশেষ কর্মরত প্রতিষ্ঠানের ভুয়া প্রত্যয়নপত্র এবং সেই প্রতিষ্ঠানে উপাধ্যক্ষ পদে বরখাস্ত হওয়ার তথ্যটি গোপন করে মো. শহিদুল্লাহ মিরদী ফাজিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং নিয়োগপ্রাপ্ত হন। যা নিয়ম বহির্ভূত।
এর প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২২ আগস্ট মিরদী ফাজিল মাদ্রাসার বিদ্যুৎসাহী সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুরে আলমকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন এবং কমিটিকে সঠিক তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর ওই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ে অধ্যক্ষ পদে মো. শহিদুল্লার নিয়োগ বৈধ নয় মর্মে প্রতীয়মান হয়।
এ বিষয়ে জানতে মিরদী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. শহিদুল্লাহর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার সকল কাগজপত্র সঠিক বলে দাবি করেন।
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ওই মাদ্রাসার বিদ্যুৎসাহী সদস্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিবেদনটি জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়েছে।