ভৈরব প্রতিনিধি, জামাল আহমেদ :
ভৈরব পৌর শহরের পঞ্চবটী নতুন রাস্তা এলাকায় নিখোঁজের ৬ ঘন্টা পর সাড়ে তিন বছরের শিশু সাহালের লাশ উদ্ধার করা হয় পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া হাসানের ওয়ারড্রবের ড্রয়ার থেকে।
এই সময় হাছান মোবাইল বন্ধ করে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ তাকে একই এলাকার অন্য একটি বাসা থেকে তাকে আটক করে। হতভাগ্য শিশু সাহাল প্রবাসী বাবুল মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত হাছান মিয়া আশুগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে হাছান শিশু সাহালকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানায়। পুলিশের ধারণা, পরকীয়ার জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে।
নিহত শিশু ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ এলাকার কাতার প্রবাসী সানাউল্লাহ বাবুর ছেলে।
জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় মাগরিবের সময় সাহালের মা সাহালকে দুধ খাওয়ানোর জন্য খুঁজতে থাকে। ওই সময় ওই এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। রাত ১০টা পর্যন্ত তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়।
এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পাশের বাসার ভাড়াটিয়া হাসানের রুম তালাবদ্ধ দেখতে পান। এতে পুলিশের সন্দেহ হয়।
এসময় হাসানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ তালা ভেঙে রুমে ঢুকে ওয়ারড্রবের নিচে সাহালের জুতা দেখতে পান। জুতা নিখোঁজ বাচ্চার বলে সনাক্ত করেন তার মা। পরে পুলিশ ওয়ারড্রবের ওপরের ড্রয়ারের তালা ভেঙে কাপড় দিয়ে মোড়ানো ও শিশুর মুখে কসটেপ লাগানো অবস্থায় ছিল। সাহালের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
এবিষয়ে ভৈরব থানার ওসি শাহিন মিয়া জানান, রাত ১১টার পর সাধারণ ডায়েরির স‚ত্র ধরে আমি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়ির পাশে কোন ডোবা না থাকায় আমরা নিশ্চিত হই ছেলেটি আশেপাশেই আছে। পাশের বাসার ভাড়াটিয়া হাসানের রুম তালাবদ্ধ পেয়ে এবং তার ফোন বন্ধ থাকায় আমাদের সন্দেহ হয়।
পরে তার রুমের তালা ভেঙে আমরা ওয়ারড্রবের ড্রয়ার থেকে কাপড়ে মোড়ানো সাহালের লাশ উদ্ধার করি।
গতকাল দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।