প্রতিনিধি, ভৈরব : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ছবি তুলে ফেরার পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সুফল আহমেদ (১৭) ও মো. মুন্না (১৬) নামে ২ জন শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এসময় মোটরসাইকেলে থাকা আরো ১ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। সুফল আহমেদকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পরে রাতে মারা যায়। মো. মুন্না ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
গত শুক্রবার বিকেলে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের শম্ভুপুর পাক্কার মাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সুফল ভৈরবপুর উত্তর পাড়া দুর্জয় মোড় বাসষ্ট্যান্ড এলাকার স্বপন মিয়ার ছেলে ও মো. মুন্না পৌর শহরের গাছতলা ঘাট এলাকার মো. আতাউল্লাহ’র ছেলে। ঘটনায় আহত মোহাম্মদ বন্য (১৬) ভৈরবপুর উত্তর পাড়া এলাকার বড় মিয়ার ছেলে। বন্য স্থানীয় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, ঘোরাঘুরির উদ্দেশ্যে শুক্রবার বিকেলে মোটরসাইকেলে করে তিনবন্ধু উপজেলার বাঁশগাড়ি এলাকায় কাঁশফুল বনে ছবি তুলতে যান। বনের কাঁশফুলের ছবি তোলার শেষে বাড়ির ফেরার পথে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের মোটরসাইকেলটি শম্ভুপর পাক্কার মাথা এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা কিশোরগঞ্জগামী একটি মালবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী সিএনজি চালিত অটোরিক্সার সাথে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।
এতে মটরসাইকেলে তিন আরোহী গুরুতর আহত হন এবং ঘাতক ট্রাকচালক ও সিএনজি চালক নিজ নিজ গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তিন মোটরসাইকেল আরোহীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুফল আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মুন্নাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত দশটায় মুন্না মারা যান।
এবিষয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার (ওসি) মো. সাজু মিয়া বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক করি। ঘাতক ট্রাক ও সিএনজি পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে এঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান তিনি।