স্টাফ রিপোর্টার : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে মো. হেলিম মিয়া নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও নগদ পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গত ২৯ আগস্ট কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-২ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, ভৈরব উপজেলার কালীপুর গ্রামের এক নারী মুরগির ফার্মে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। আসামি উক্ত নারীর প্রতিবেশী হওয়ায় প্রায়শই তার বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো এবং নানা কুপ্রস্তাব দিতো। ২০০৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে আসামি গৃহস্থালি কাজ করে দেওয়ার জন্য উক্ত নারীকে বাড়িতে ডেকে নেয়। এক পর্যায়ে উক্ত নারীকে আসামি জোরপূর্বক ধষর্ণ করে।
পরবর্তীতে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। উক্ত নারী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত¡া হওয়ার পর তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার জানায় মো. হেলিম মিয়া। পরবর্তীতে তিনি বাদী হয়ে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি ভৈরব থানার ওসিকে তদন্তক্রমে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলাটি ভৈরব থানা পুলিশ তদন্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (১) ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতে আসামি মো. হেলিম মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি মো. হেলিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও নগদ পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-২ এর স্পেশাল পি.পি অ্যাডভোকেট মো. আতাউর রহমান।