প্রতিনিধি, ভৈরব, জামাল আহমেদ : কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ৬ হাজার মিটার রিং ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মেঘনা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রেদয়ান আহমেদ রাফি।
এ সময় অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেট দেখে পালিয়ে যায় অসাধু মাছ শিকারীরা।
অভিযানে ভৈরব উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাহবুবুর রহমান ও ভৈরব নৌ-থানা পুলিশ সহায়তা করেন। অভিযান শেষে মেঘনা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় উদ্ধারকৃত জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেন মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাহবুবুর রহমান।
মৎস্য অফিস সুত্রে জানা যায়, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী মা ইলিশ সংরক্ষণের স্বার্থে ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর টানা ২২ দিন ইলিশ নিধন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্প‚র্ণ বন্ধ থাকবে।
যদি কোন জেলে এই আইন অমান্য করে তাকে কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদÐ অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রেদয়ান আহমেদ রাফি বলেন, মা ইলিশ মাছ ও জাটকা নিধন বন্ধে এই অভিযান পরিচালনা হচ্ছে।
সরকার ২২ দিন মা ইলিশ নিধনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই ২২ দিন মা ইলিশ রক্ষা করতে পারলে মাছের প্রজনন বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে জেলেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ভৈরবের আটশতাধিক জেলেদের মঝে ২৬ কেজি করে চাউল বিতরণ করা হয়েছে।