মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৩ পূর্বাহ্ন

ভৈরবে ১৫ বছর পর দখলমুক্ত হলো কালী মন্দিরের জায়গা

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৪১ Time View

প্রতিনিধি, ভৈরব, জামাল আহমেদ : কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের ৬নং ওয়ার্ড এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত কালী মন্দিরের জায়গা দখল করে রেখেছিল এক পরিবারের তিন দখলবাজ ভাই। সাড়ে তিন বছর প‚র্বে মামলা দায়েরের পর আদালতের রায়ের মাধ্যমে অবশেষে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে দখলমুক্ত হলো সাদেকপুর গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীর প্রার্থনার স্থান কালী মন্দিরের জায়গা।

গতকাল রবিবার দুপুরে উক্ত কালী মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের জন্য উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা একই গ্রামের নগেন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে নিরঞ্জন দাস, কমলরঞ্জন চন্দ্র দাস ও শুকুর চন্দ্র দাস-এই তিন ভাইয়ের দাবি, মন্দিরের জায়গাটি তাদের বাপ-দাদার। অপরদিকে এলাকার বসবাসরত অন্যান্য হিন্দুদের দাবি, তাদের কোন কাগজপত্র নেই।

এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় তারা তিন ভাই জবরদখল করে মন্দিরের জায়গায় দুটি ঘর তুলে পরিবার নিয়ে বসবাস করছে। এলাকাবাসী তাদেরকে উচ্ছেদের কথা বললেই তারা হুমকি-ধামকি দেয়। পরবর্তীতে আদালতে মন্দির কমিটি মামলা দায়ের করলে রায় তাদের পক্ষে আসে।

গতকাল রবিবার আদালতের রায় বাস্তবায়নে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে দখলকৃত জায়গায় দুটি আধাপাকা টিনের ঘর উচ্ছেদ করে জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।

সাদেকপুর কালী মন্দির কমিটির সভাপতি দিলীপ সরকার বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পর অবৈধ দখলবাজদের হাত থেকে কালী মন্দিরের ৩ শতাংশ জায়গা আজ আদালতের রায়ের মাধ্যমে দখলমুক্ত হলো। দীর্ঘ বছর ধরে জায়গা বেদখল থাকায় মন্দিরের কোন উন্নয়নমূলক কাজ করা যায়নি। এখন আর কোন বাধা রইলো না। আজকের দিনটি আমরা হিন্দু স¤প্রাদয়ের জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন।

এ বিষয়ে ভৈরব সহকারী জজ আদালত, বাজিতপুর চৌকির নাজির নাঈম চৌধুরী জানান, সাদেকপুর কালী মন্দিরের ৩ শতাংশ জায়গা অবৈধভাবে দখল করে আসছিলো তাদেরই স¤প্রাদয়ের তিন ভাই। সাড়ে তিন বছর পূর্বে দখলের অভিযোগে মন্দির কমিটির সভাপতি বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

এই মামলার রায়ে মন্দিরের জায়গা দখলকৃতদের কাছ থেকে উচ্ছেদ করে উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা আদালতের রায় বাস্তবায়নে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছি।

উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় করেন ভৈরব সহকারী জজ আদালত, বাজিতপুর চৌকির নাজির নাঈম চৌধুরী। এসময় অভিযানে সহযোগিতা করেন, ভৈরব থানার এসআই মো. তোফায়েল আহমেদ, ভৈরব সহকারী জজ আদালত, বাজিতপুর চৌকির প্রসেস সার্ভেয়ার মো. নজরুল ইসলাম, আমিন কমিশনার মাহবুরুর রহমান, ঢলি আশেক আলী প্রমুখ।

আপডেট সংবাদ পেতে শতাব্দীর কন্ঠ পড়ুন, শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
All rights reserved © Shatabdir Kantha . Developed by SDTT Academy & Tech Liberty