ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জ টু ভৈরব আঞ্চলিক মহা সড়কটি দেশের উত্তর ও পশ্চিম অংশের সঙ্গে ও উত্তর পূর্বাংশের তিন বিভাগের প্রায় ১৭ থেকে ১৮টি জেলার সড়ক পতের যোগাযোগ ও ব্যবসায়িক পণ্য পরিবহনের একমাত্র লিং রাস্তা। এই সড়কের কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব পর্যন্ত ৫৫ কিঃ মিঃ সহ ২০ কিঃ মিঃ জুড়ে এখন আপন হয়ে দাড়িয়েছে।
২০১৯ সালের শেষ দিকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যায়ে সড়ক ও জন পথ বিভাগ ৫৬ কিঃ মিঃ সড়কের সংস্কার করে কিন্তু ছয় মাসের মধ্যে রাস্তাটির অধিকাংশ অংশে নষ্ট হয়ে যায়। কোথাও কোথাও ফেটে ডেবে যায়। আবার কোথাও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায় তেল বাহি লড়ি মনোহারি ট্রাক সহ প্রতিদিন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে আসছে। ২০২০ সালের মাজামাজি থেকে সারে তিন বছর আগেই এই রাস্তা দিয়ে যান চলাচলে অনুপযুক্ত হয়ে পরে। তার পরেও মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে কয়েকটি জেলার মালামাল ও বিভিন্ন তেল বাহি ট্রাক, বাস, সিএনজি, অটো বাইক চলাচল করে আসছে।
এই ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা দিয়ে যান চলাচল ছাড়াও বিভিন্ন বাস চলাচল করতে গিয়ে অনেকেই প্রাণ হানি ঘটে। এমনকি এই রাস্তা দিয়ে রাতে বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেক যাত্রী চিন্তাই ও ডাকাতদের হাতে মালামাল লুষ্ঠিত হচ্ছে। আবার অনেকেই মৃত্যুও পর্যন্ত হচ্ছে। ভুক্তভোগি ব্যবসায়ি ও যাত্রীরা জানান নিম্নমানের টিকাদারী কাজ এবং সওজের উধাসীনতার কারণে রাস্তার কাজ নিম্নমানের হয়েছে। যার কারণে এ রাস্তার কাজ একেবারে বাজে হয়েছে বলে অনেকে মন্তব্য করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় এ সড়কে এক তৃতীয়াংশ ভাঙ্গা চুড়া রয়েছে। বিশেষ করে এ রাস্তার পিরিজপুর, গজারিয়া, আগরপুর, মধ্যাংশ, বরগ্রামের একটি অংশে হাওর থাকার কারণে ঘন ঘন ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে বেশি। কিন্তু বর্ষা মৌসমে এসব অপরাধ পুলিশ রাতের বেলায় টহল দিয়েও অপরাধিদের রোধ করতে পারছে না বলে অনেক পথচারি মন্তব্য করেন।