বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩১ অপরাহ্ন

মসজিদে আযান দেওয়া কেন্দ্র করে হামলায় আহত ২

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪
  • ৮৭ Time View

এফএনএস : রাজশাহীর বাঘায় মসজিদে আযান দেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলায় ২ জন আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার দুপুরে আড়ানী ইউনিয়নের উত্তর সোনাদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, আড়ানী ইউনিয়নের উত্তর সোনাদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মহিদুল ইসলাম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিঠু মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক নের্তৃত্ব নিয়ে দ্ব›দ্ব চলছিল। সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিঠুর ভাতিজা জিনারুল ইসলাম রোববার যোহরের নামাজের আযান দিতে আসেন। এ নিয়ে ইমামের সাথে তর্ক লাগে।

এক পর্যায়ে মসজিদে ইমাম মাইকে প্রচার করে কিছু লোকজন হামলা করতে এসেছে। এ কথা শুনে মসজিদের সদস্য শহিদুল ইসলাম সেন্টু ও মানিক হোসেন এগিয়ে আসেন। এ সময় মিজানুর রহমান মিঠুর লোকজন লোহার রড়, বাঁশের লাঠি, বালিট, হাসুয়া নিয়ে শহিদুল ইসলাম সেন্টু ও মানিকের উপর হামলা করে। এ হামলায় তারা গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে চারঘাট পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে শহিদুল ইসলাম সেন্টুর নাক ও মুক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। বিকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফিরেনি।

এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি মহিদুল ইসলাম ও স্থানীয় সেলিম উদ্দিন বলেন, আবদুর রশিদ, ফজল হোসেন, মসলেম উদ্দিন, মিঠু দীর্ঘদিন থেকে মসজিদকে কেন্দ্র দ্ব›দ্ব ফ্যাসাত করে আসছে। সমাজের ১১০ পরিবার একত্র হয়ে তাদের সমাজ থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে মসজিদে গিয়ে সময়ে অসময়ে দ্ব›দ্ব লাগায়।

মসজিদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিঠু বলেন, তারা এককভাবে সমাজকে নেতৃত্ব দিয়ে চায়। প্রতিবাদ করায় তারা একত্রি হয়ে আসামদের সমাজ থেকে আলাদা করে রেখেছে। আমার ভাতিজা আযান দিতে গেলে তারা আযান নিদে বাধা দেয়। এ দিয়ে ইমামের সাথে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে মসজিদের ইমাম সামসুল ইসলাম বলেন, আমি বাইরে থেকে এখানে এসে ইমামতি করি। যখন তখন এসে সময় হওয়ার আগে জিনারুল মসজিদে এসে আযান দেয়। এ নিয়ে নিষেধ করায় আমাকে আক্রমণ করে। আমি বাধ্য হয়ে মাইকে প্রচার করলে দুই সদস্য এগিয়ে আসলে তাদের উপর হামলা করে।

এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপডেট সংবাদ পেতে শতাব্দীর কন্ঠ পড়ুন, শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
All rights reserved © Shatabdir Kantha . Developed by SDTT Academy & Tech Liberty