স্টাফ রিপোর্টার : চলমান ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে তথা ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য মিঠামইন উপজেলার পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৩ জন প্রার্থী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পরে ৫ জন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। মিঠামইনে মোট ভোটার ৭ ইউনিয়নে ১ লক্ষ ৫ হাজার ৫৫৬ জন। ভোট কেন্দ্র ৪২ টি।
চেয়ারম্যান পদে যে ৩ জন লড়ছেন তারা সকলেই আওয়ামী লীগ সমর্থক। চেয়ারম্যান পদে মিঠামইন ইউনিয়ন পরিষদের ২ বারের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের ছোট বোন আছিয়া আলম (মোটরসাইকেল), ঘাগড়া ইউনিয়নের ৪ বারের সাবেক চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন চৌধুরী (আনারস) এবং শিক্ষকতা ও পরে আওয়ামী রাজনীতিতে আসা মো: শাহজাহান মিয়া (ঘোড়া) মার্কা লড়ছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো: ইব্রাহিম মিয়া (মাইক), মো: শাফির উদ্দিন (তালা) এবং ইসলাম উদ্দিন (উড়ো জাহাজ)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জুলি চৌধুরী (ফুটবল), রোকেয়া আক্তার মিনা (কলস), ফেরদৌসী হক রিপা (পাখা), হেলেনা আক্তার (হাঁস) এবং মাহবুবা রহমান (প্রজাপতি) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
এ বছর নির্বাচনী প্রচারে কোনো কোনো প্রার্থী যানবাহনের উপর নির্ভরশীল হয়েয়ে পড়েছেন। হওরের রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ণের ফলে এ পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। কোনো কোনো প্রার্থী শুধু অটোরিকশায় মাইক লাগিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। নেই কোনো পথসভা, নেই সভাসমাবেশ। রাস্তার পাশে কোনো গ্রাম পেলে হাত মিলিয়ে ভোট চাইছেন। এখন পর্যন্ত ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে আছিয়া আলম গণসংযোগ ও পথ সভায় প্রচারপত্র বিভিন্ন ইউনিয়নে পৌঁছে দিচ্ছেন। অন্য কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচার পত্র চোখে পড়েনি। তারা মিছিল ও মাইকের মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
আছিয়া আলম মিঠামইন সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম খুরশীদ আলমের সহধর্মিণী ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছোট বোন। তিনি পর পর ২ বার মিঠামইন সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। স্বর্ণ পদক ও পেয়েছেন। অপর প্রার্থী বোরহান উদ্দিন চৌধুরী ৪ বার ঘাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জেলা পরিষদ নির্বাচন এবং পুনরায় ইউ.পি নির্বাচনে অংশ নিয়ে ফেল করেন।
অপর প্রার্থী শাহজাহান মিয়া শিক্ষকতা শেষে অবসর জীবন যাপন করছে। তিনি মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। প্রচার প্রচারণায় তিনি শুধুমাত্র মাইক ব্যবহার করছেন।
সাধারণ ভোটারদের মতামত যারা উন্নয়ন করতে পারবে তাদেরকে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবো।
এবারের ভোটারদের মাঝে তরুণ শিক্ষিত পুরুষ ও মহিলা ভোটারা যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দিবেন বলে মন্তব্য করেছেন। যারা বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার যোগ্যতা রয়েছে তাদের হাতেই আমাদের মূল্যবান ভোট তুলে দিব। যারা এলাকায় খুন-দুর্নীতি অনিয়ম রোধ করতে পারবে তারাই যোগ্য প্রার্থী।
সাধারণ ভোটারদের মতামত যারা উন্নয়ন করতে পারবে তাদেরকে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবো। এবারের ভোটারদের মাঝে তরুণ শিক্ষিত পুরুষ ও মহিলা ভোটারা যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দিবেন বলে মন্তব্য করেছেন। যারা বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার যোগ্যতা রয়েছে তাদের হাতেই আমাদের মূল্যবান ভোট তুলে দিব। যারা এলাকায় খুন-দুর্নীতি অনিয়ম রোধ করতে পারবে তারাই যোগ্য প্রার্থী।