অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা ভবন ভেঙ্গে ব্যক্তিগত রাস্তা তৈরী করে মাদ্রাসাটি দীর্ঘ দশ বছর যাবত বন্ধ রেখে ভবনটি বসত বাড়ি হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাস্তুল ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাতশালা জামে মসজিদ সংলগ্ন ভাতশালা ফুরকানিয়া মাদ্রাসাটি প্রায় শত বছরের পুরোনো একটি ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা। মাদ্রাসাটি শতবছর ধরে দূর্গম হাওরে ইসলামী শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে আসছে এবং স্বাধীনতার পর থেকেই কাস্তুল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এলাকাবাসী জানান, ভাতশালা মসজিদের ইমাম লোকমান আহমদ উক্ত মসজিদে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে তিনি পরিবারের লোকজন নিয়ে মাদ্রাসার একটি অংশ ভেঙ্গে পারিবারিক রাস্তা তৈরী করেন এবং ভবনটিতে গৃহস্থালির তৈজসপত্র ভরে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার শুরু করেন। মসজিদ ও মাদ্রাসার জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে টয়লেট ও রান্নাঘর। তারা জানান, প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ থাকায় শিশুরা ইসলামি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। এ বিষয়ে ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইসলাম উদ্দিন এ প্রতিনিধিকে জানান, ইমাম লোকমান আহমদ ও তার পরিবার মাদ্রাসা ভবন ভেঙ্গে পারিবারিক রাস্তা তৈরী করে মাদ্রাসা বন্ধ করে ভবনটি নিজেরা ব্যবহার করে আসছে। এতে এলাকার শিশুরা ইসলামি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া ভবনটি তাদের দখলে নিয়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিতে ভোট গ্রহণের পরিবেশও নষ্ট হয়ে গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলশাদ জাহান মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। শীঘ্রই আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।