স্টাফ রিপোর্টার : পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে রক্তাক্ত, হাড়কাটা গুরুতর জখম নিয়ে হাসপাতালের বেডে মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন হোসেনপুরের নিরীহ বাবুল মিয়া। গুরুতর আহত বাবুল মিয়াকে প্রথমে হোসেনপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা হাসপাতালেও উপর্যুপরি হামলা চালায়।
এ সময় বাবুল মিয়ার ভাবিও হামলার শিকার হন।এ ব্যাপারে ৪ জনকে আসামি করে হোসেনপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, হোসেনপুর উপজেলার আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের ধূলজুরী গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের পুত্র মো. বাবুল মিয়া (৩৫) গংদের সাথে একই গ্রামের সন্ত্রাসী মো. রফিকুল ইসলাম গংদের সাথে সম্পত্তি নিয়ে পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন ধূলজুরীর কাঁচা রাস্তায় সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দলটি বাবুল মিয়ার ওপর দেশিয় অস্ত্রসহ হামলা চালায়।
সন্ত্রাসীদের উপর্যুপরি আঘাতে বাবুল মিয়ার মাথা, হাতের আঙ্গুলসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত হাড়কাটা জখম হয়ে গুরুতর আহত হয়। ডাক চিৎকার শোনে সাক্ষী ও আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হোসেনপুর হাসপাতালে ভর্তি করার সময় হাসপাতালের ভিতরে সন্ত্রাসীরা আবারো হামলা চালিয়ে মারাত্মক জখম করে।
এ সময় হোসেনপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা গুরুতর দেখে কিশোরঞ্জের শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বাবুল মিয়ার ভাবিও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে গত ৮ অক্টোবর হোসেনপুর থানায় ১৪৩/ ৩২৩/৩২৪/ ৩২৬/৩০৭/ ৩৫৪/৩৭৯/ ৫০৬/৩৪ পেনাল কোডে মামলা রেকর্ড করা হয়। সন্ত্রাসী মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হেলাল উদ্দিন, মো. নিশাদ মিয়া, মো. নৌশাদ’কে আসামি করে দ্রæত গ্রেফতারের দাবি জানান মামলার বাদী গুরুতর আহত বাবুল মিয়ার বড় ভাই মো. হেলাল মিয়া।
বর্তমানে বাবুল মিয়ার একটি আঙ্গুলের হাড় কেটে আলাদা হয়ে গেছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী জীবন মিয়া।
উল্লেখ্য রফিকুল ইসলামের নামে ভ‚মিদস্যুতা, ডাকাতিসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে বলে এলাকবাসীরা জানান।