প্রতিনিধি, করিমগঞ্জ (কিশোরগঞ্জ) এম এ জলিল : কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শাহীনুল ইসলাম বলেন, কৃষি কখনই পেশা হিসাবে নেওয়া যাবেনা, কৃষিতে কোনো উন্নয়ন নাই- সেই দিন আর নাই। আমরা এখন একটা ক্রাইসিসের মধ্যে আছি।
আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নাই। আমরা যা খাই, সেটা কতটুকু নিরাপদ তা এখন চিন্তার বিষয়। সেটা ফল হোক, সবজি হোক আর ধান হোক। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে আয়োজনে করিমগঞ্জ উপজেলার জাফরাবাদ ইউনিয়নের বাদেশ্রীরামপুরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সোয়াবিন পরিহার করে সরিষার প্রতি গুরুত্বারূপ করে ওই কৃষি কর্মকর্তা বলেন, আমরা যে সয়াবিনটা খাই সেটা কোনোভাবেই এক নম্বর না। এটা আমাদের মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এখনই সময় সয়াবিন পরিহার করে সরিষা তেল ব্যবহারে অভ্যস্থ্য হতে হবে। মাঠ পর্যায়ে এর উৎপাদন বাড়াতে হবে।
মানবদহে পুষ্টিগুণে সোয়াবিনের চাইতে সরিষার তেল অতি উত্তম তা কৃষকদের মাঝে তুলে ধরেন ওই কৃষি কর্মকর্তা।
আমন ধানের বালাই ব্যবস্থাপনা, সরিষা আবাদ বৃদ্ধি, উচ্চমূল্য রবি শস্য আবাদ, বাণিজ্যিক কৃষি ও অন্যান্য আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনষ্ঠানে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রিফাত আলম জনির সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শাহীনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোকছেদুল হক।
আরও বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোঃ ইমরুল কায়েস (পিপি), অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মর্জিনা আক্তার প্রমূখ। সমাবেশে পাঁচশতাধিক কৃষকসহ সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আজিজুল মতিন, উপ সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ তাজ উদ্দিন, উপ সহকারী কৃষি অফিসার মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য কৃষি কর্মকর্তা-কর্মচরীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আমন ও বোরো ধান আবাদের মাঝখানের সময়টাতে সরিষা আবাধের প্রতি কৃষকদের তাগিদ ও এর গুরুত্ব বুঝাতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুকসেদুল হক এক পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলেন, আমাদের দেশে ৭০ ভাগ মানুষ মারা যায় অসংক্রামক ব্যাধিতে।
আর এই অসংক্রামক ব্যাধি তৈরি হয় ভেজাল ভোজ্য তেলের কারণে। সোয়াবিন হচ্ছে তার একটা। সেই ব্যাধির মধ্যে খুবই মারাত্বক গ্যাস্ট্রিক-আলসার। যা আমাদের তিলে তিলে শেষ করে দেয়। তাই আমাদের সরিষাতে ফিরে আসতে হবে।