স্টাফ রিপোর্টার, কুলিয়ারচর মো. নাঈমুজ্জামান নাঈম :
টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে তাবলীগের সাথীদের উপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ও হামলা পরিচালনাকারী সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং নিষিদ্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার বেলা ১১টায় কুলিয়ারচর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে উপজেলা ইমাম উলামা পরিষদ ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার আয়োজনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত এবং সমাবেশ শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)’র মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
উক্ত সমাবেশে সভাপতি হিসেবে স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন কুলিয়ারচর উপজেলা ইমাম উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুফতি ওবায়দুল্লাহ আনোয়ার।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ইমাম উলামা পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা বাহাউদ্দীন, হাফেজ আমির উদ্দিন খান ও মুফতি আব্দুল কাইয়ুম খান, উপজেলা ইমাম উলামা পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুস সালাম, সহ-সভাপতি মাওলানা আসাদুর রহমান কাসেমী, মাওলানা লায়েছ উদ্দিন, উপজেলা ইমাম উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আসাদুল্লাহ, মাওলানা শওকত আলী, উপজেলা তাবলীগের শ‚রা সাথী বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম হারুন, পৌর ইমাম উলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি আব্দুস সালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মুফতি নাসিরুদ্দিন রাহমানি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সিরাজুল্লাহ সাইফী, ক্যাশিয়ার মাওলানা আবদুর রহমান, মাওলানা জালাল উদ্দীন সোহাগ ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাসুম বিল্লাহসহ অনেকে।
এসময় উপজেলার পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত ইমাম-খতিব, উলামায়ে কেরাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সদস্য এবং তাবলীগের সাথীসহ সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মাওলানা নাজমুল হক, মুফতি আব্দুস সালাম আজাদ, মুফতি নাসিরুদ্দিন রাহমানি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতীয় ইসরায়েলের দালাল সাদপন্থীরা যারা ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর টঙ্গী ইজতেমার মাঠে সন্ত্রাসী কায়দায় আক্রমণ করে শত শত আলেম-উলামা, ছাত্র তাবলীগের সাধারণ সাথীদেরকে মারাত্মক আহত করে ছিল এবং টঙ্গী ইজতেমার মাঠে পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় আক্রমণ করে ০৪ জনকে হত্যা করে এবং অনেকেই এ হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তারা বলেন, দেশের ওলামায়ে কেরাম, বুদ্ধিজীবী, সমন্বয়ক ও সর্বোচ্চ মহল এই সাদীয়ানী গ্রæপকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাই এই সাদপন্থী সন্ত্রাসী গ্রæপকে মসজিদে দ্বীন ও তাবলীগের নামে তাদের সকল কার্যক্রকে নিষিদ্ধ করে অনতিবিলম্বে হত্যায় জড়িত ও নির্দেশদাতাদের গ্রেফতার, সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান এবং এহেন সন্ত্রাসীদের সকল কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবি জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট।