স্টাফ রিপোর্টার : গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও তার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় পর মিঠামইন উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল বাহির করে। মিছিলটি বিএনপি অফিসের সামনে আসার পরই বিপরীত দিক থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পাল্টা মিছিল বের করে বিএনপির মিছিলের উপর হামলা চালায়।
হামলায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন জেরিকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। ঘটনাস্থল ছেড়ে যাবার আগে ককটেল বিস্ফোরণ করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীরের বড় ভাইয়ের পাঁচ পোড়ণ হোটেলে প্রবেশ করে ভাংচুর চালায় এবং হোটেল মালিক শাহরিল আলম তপনকে মারপিট করে ক্যাশ থেকে নগদ ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ঘটনার পর পরই মিঠামইন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন থানায় পুলিশের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় গত ১৬ আগস্ট ইমরান হোসেন জেরি বাদী হয়ে মিঠামইন সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শরীফ কামালকে প্রধান আসামি করে ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পাঁচ পোড়ণ হোটেলের মালিকের ছেলে ফারহান সিকদার বাদী হয়ে গতকাল শনিবার মিঠামইন উপজেলা চেয়ারম্যান আছিয়া আলমকে প্রধান আসামি করে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করেন। দুটি মামলাতেই সাবেক রাষ্ট্রপতির বাড়ির লোকজন আসামির তালিকায় রয়েছেন। দুটি মামলায় মোট আসামি ৯২ জন।