মোঃ মিজানুর রহমান, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি : সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বোন মিঠামইন উপজেলা সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আছিয়া আলম, ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল হক নূরু ও ভাতিজা মিঠামইন সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শরিফ কামালসহ ৯২ জনকে আসামি করে দুটি মামলা হয়েছে। কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থামায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও বিস্ফোরক আইনে এ মামলা করা হয়।
গত সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে মিঠামইন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান হাবিব এ মামলা দুটির কথা নিশ্চিত করে বলেন, এখনও কোনো আসামি আটক হয়নি। মিঠামইন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন জেরি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীরের ভাতিজা ফারহান সিকদার বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। প্রথম মামলায় ৪৭ জনের এবং দ্বিতীয় মামলায় ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রথম মামলার লিখিত এজাহারের বিবরণে জানা যায়, বিগত ৫ আগস্ট দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পালানোর খবরে মিঠামইন উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি বিএনপি অফিসের সামনে আসার পরই বিপরীত দিক থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পাল্টা মিছিল বের করে বিএনপির মিছিলে হামলা চালায়।
হামলায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন জেরিসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হন। এ ছাড়াও ওই দিন বিএনপির মিছিলে হামলা চালিয়ে ফেরার পথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীরের বড় ভাই শাহরিল আলম তপনের পাঁচফোড়ন নামক হোটেলে প্রবেশ করে ভাঙচুরসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং শাহরিল আলম তপনকে মারধর করে ক্যাশ থেকে নগদ তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
দুটি মামলাতেই সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বোন মিঠামইন উপজেলা সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আছিয়া আলম, ভাই অধ্যক্ষ আবদুল হক নূরু ও ভাতিজা ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ কামালসহ অজ্ঞাত আরও শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।