এফএনএস : সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় মাসইয়াফ এলাকায় কয়েকটি সামরিক অবকাঠামো স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে চার সেনাসদস্যসহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেসামরিক ব্যক্তিও রয়েছেন। সিরিয়ার বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গত রোববার রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে বেশ কিছু সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কয়েকটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র ভ‚পাতিত করে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, এ হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এলাকার কয়েকটি সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে দেশটির কয়েকটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। ওই স্থানে ১৩টি বিস্ফোরণ ঘটেছে। এই এলাকায় ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অবস্থান ছিল। এ ছাড়া সেখানে অস্ত্র উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা অবস্থান করেন।
এ বছরের মার্চে সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে একযোগে বিমান ও ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী এবং অজ্ঞাত সশস্ত্র গোষ্ঠী। এতে অন্তত ৩৮ জন সামরিক-বেসামরিক মানুষ নিহত হয়। হিজবুল্লাহসহ ইরানের সমন্বিত গোষ্ঠীগুলো সিরিয়ার পূর্ব, দক্ষিণ এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পাশাপাশি রাজধানী দামেস্কের আশেপাশের শহরতলিতে প্রভাব বিস্তার করে। পর বছর ধরে সিরিয়ায় হামলা চালিয়েছে আসছে ইসরায়েল।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সিরিয়ার দামাসকাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের ১১ সেনা নিহত হন। সিরিয়ায় হামলার ব্যাপারে সাধারণত কোনো ধরনের মন্তব্য বা তথ্য দেয় না ইসরায়েল। তবে ইহুদিবাদী ইসরায়েল একাধিকবার জানিয়েছে, চিরশত্রæ ইরানকে কখনো তারা সিরিয়ায় উপস্থিতি বৃদ্ধি করতে দেবে না।
ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের যে ১১ সেনা নিহত হয়েছেন তারা সিরিয়ায় পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ইরান সমর্থিত সামরিক গোষ্ঠীগুলোর দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে বিপ্লবী গার্ডের সেনাদের সরব উপস্থিতি রয়েছে। এসব দেশের সশস্ত্র গোষ্ঠীদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করে থাকেন তারা। খবর- খালিজ টাইমস