ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৩৭টি অক্সিজেন গ্যাস সিলিন্ডার গায়েবের ঘটনা ঘটেছে। দায়িত্বরত ব্যক্তিরা বলেন, চুরি, তবে মূলত কারা এগুলো গায়েব করেছে তদন্ত করলেই বের হয়ে আসবে।
জানা যায়, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মোট ৪৭৬টি গ্যাস সিলিন্ডার স্টোর রুমে ছিলো। এর মধ্যে ৩৭টি সিলিন্ডার বর্তমানে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও দায়িত্বরত কর্মচারী থাকার পরেও কিভাবে গায়েব বা চুরি হয়ে গেল তা নিয়ে এলাকাবাসী ও হাসপাতাল তোলপাড়। স্থানীয়দের দাবি, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যেই রয়েছে মূলহোতা।
সঠিক তদন্তে দোষীদের চিহ্নিত করারও দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে হাসপাতালের বায়োমেডিক্যাল টেকনিশিয়ান আমান উল্লাহ’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চুরি হয়েছে এটা সত্য। সঠিক সংখ্যাটা স্টোর ইনচার্জ বলতে পারবে। আমাদের ধারণা হাসপাতালের বাইরের তিনজন ব্যক্তি চুরি করেছে। এ নিয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।
হাসপালের স্টোর ইনচার্জ আনিছুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, স্টোর রুমে ৪৭৬টি গ্যাস সিলিন্ডার ছিলো। তার মধ্যে ৩৭টি সিলিন্ডার পাওয়া যাচ্ছে না।
হাসপাতালে সেবাদানদারী প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সের চালক ওবায়দুল জানান, তাকে জোর করে দু’জন ব্যক্তি তার এ্যাম্বুলেন্সে করে দুটি সিলিন্ডার বাহিরে নিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. হেলাল উদ্দিন চুরি হওয়ার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তবে হাসপাতালে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রধান হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা মো: একরামুল হকের হাত রয়েছে এ ঘটনার পিছনে। কারণ হাসপাতালে বিভিন্ন সময় নানা অনিয়মের সাথে জড়িত রয়েছে এই একরামুল।
২০২১ সালের ৩ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমাণিত হলেও এখন পর্যন্ত কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দেননি এই হিসাব রক্ষক একরামুল হক।