এফএনএস : যুদ্ধ-বিগ্রহ বেড়ে চলেছে বিশ্বে। দেশ ছেড়ে পালাতে হচ্ছে অনেককে। বাড়ছে উদ্বাস্তু মানুষের সংখ্যা। করুণার পাত্র হয়ে অন্য দেশে আশ্রয় পেলেও খেলাধুলাকে যারা ভালোবাসেন, তারা স্বপ্ন দেখেন। আর তাদের স্বপ্ন পূরণের সযোগ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। এনিয়ে টানা তৃতীয়বার গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছে রিফিউজি অলিম্পিক টিম। ১১ দেশের ৩৭ জন অ্যাথলেট ১২টি বিভিন্ন খেলায় অংশ নিচ্ছেন। শুক্রবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই উদ্বাস্তু দলের পতাকা বহন করবেন সিন্ডি গাম্বা।
ক্যামেরুনে জন্ম নেওয়া এই বক্সার বলেন, ‘আমাদের রিফিউজি অলিম্পিক টিম নামে ডাকা হলেও সারা বিশ্বের উদ্বাস্তুদের স্বীকৃতি আমরা পাবো। আমাদেরকে দেখা হবে একটি দল, অ্যাথলেট, যোদ্ধা, ক্ষুধার্ত অ্যাথলেট হিসেবে, যারা একটি পরিবারের অংশ। আমরা শুধু উদ্বাস্তু নই, আমরা অ্যাথলেট। লোকেরা আমাদের উদ্বাস্তু হিসেবে দেখবে, কিন্তু এখানে আসা অন্য দলগুলোর মতো আমরাও একই লক্ষ্য নিয়ে এসেছি। আমরাও জিততে এসেছি একই শক্তি ও ক্ষুধা নিয়ে।’ ২০১৫ সালে দৃশ্যপটে আসে রিফিউজি অলিম্পিক টিম। তারা প্রথমবার অংশ নেয় ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিক গেমসে। প্রথমবার অ্যাথলেট ছিলেন ১০ জন।
২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকে ২৯ জন অ্যাথলেট অংশ নেন। এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক উদ্বাস্তু খেলোয়াড় লড়বেন সাঁতার, অ্যাথলেটিকস, ব্যাডমিন্টন, বক্সিং, ব্রেকড্যান্সিং, ক্যানোয়িং, সাইক্লিং, জুডো, শুটিং, তায়কোয়ান্দো, ভারোত্তোলন ও কুস্তির মতো খেলায়। এবারের অলিম্পিকের নতুন খেলা ব্রেকড্যান্সিংয়ে অংশ নেবেন মানিঝা তালাস। ২১ বছরের আফগান তরুণী রাস্তায় একজনকে নাচতে দেখে অনুপ্রাণিত হন।
কিন্তু ২০২১ সাল থেকে আফগানিস্তানের শাসক তালেবান। সে দেশে তার থাকা হয়ে ওঠেনি, তিনি স্পেনে চলে যান উদ্বাস্তু হিসাবে। এই দলের আরেকজন ফারজাদ মানসৌরি। টোকিওতেও খেলেছিলেন তিনি। তখন আফগানিস্তানের হয়ে খেলেছিলেন। তালেবানদের শাসন ভার নেওয়ার পর তিনি চলে যান ব্রিটেনে। এ বছর উদ্বাস্তু হিসাবে খেলতে নামবেন। দ্বিতীয়বার অলিম্পিকে নামার সুযোগ পাচ্ছেন মানসৌরি। তিনি বলেন, ‘আশা করবো আমাদের দেশে শান্তি ফিরবে। সারা বিশ্বে শান্তি ফিরে আসবে।’