প্রতিনিধি করিমগঞ্জ : করিমগঞ্জে হাঁসের খামার থেকে প্রতিদিন প্রায় ২৪ হাজার টাকার ডিম বিক্রি করছেন কাজী আব্দুল খালেক। ফসলের মাঠে সারাদিন একসঙ্গে চরানো হয় প্রায় তিন হাজার হাঁস। সন্ধ্যা হতেই সেগুলোকে ঢোকানো হয় ঘেরে। সকালে সেই ঘেরে মেলে প্রায় ১৬০০ ডিম। সেখান থেকে প্রতিটি ডিম বিক্রি হয় ১৪ থেকে ১৫ টাকায়। এভাবেই হাঁসের খামার থেকে প্রতিদিন প্রায় ২৪ হাজার টাকার ডিম বিক্রি করেছেন করিমগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ আশতকা গ্রামের কাজী আব্দুল খালেক।
হাঁসের খাবার খরচ, শ্রমিকের মজুরি ও অন্যান্য সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে তার আয় থাকে লক্ষাধিক টাকা। ১ বছর ধরে হাঁসের খামার পরিচালনা করে সচ্ছলতার দেখা পেয়েছেন তিনি। খামারি কাজী আব্দুল খালেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাঁসের ১-২ দিনের বয়সের বাচ্চা কেনা বাবদ যা ব্যয় হয়, সেটিকেই ম‚ল বিনিয়োগ হিসেবে ধরা হয়। ৩ হাজার হাঁস আছে খামারটিতে। তিন হাজার হাঁসের একটি খামারে প্রতিদিন গড়ে ১৬০০টি ডিম উৎপাদন হয়। বর্তমান বাজার ধর অনুযায়ী এর দাম ২৪ হাজার টাকা। (প্রতিটি ১৫ টাকা হিসাবে)।
দুইজন শ্রমিক নিয়ে তিনি খামারটি চালান। শ্রমিকের মজুরি, হাঁসের খাবার, ঔষধসহ নানা ব্যয় মেটানোর পরেও প্রতি মাসে তাঁর লাখ টাকার কাছাকাছি আয় থাকছে। হাঁসের খামারগুলোতে ম‚লত ডিম উৎপাদনের লক্ষ্যেই গড়ে তোলা হয়। এ কারণে খামারিরা বেশি ডিম দেয় এমন উন্নত জাতের হাঁস কিনে থাকেন।
৮ থেকে ৯ মাস বয়সের উন্নত জাতের একটি হাসের দাম পড়েছে এখন ৬০০ টাকার কাছাকাছি।তবে দুই তিন বছর পর সেগুলো ডিম দেওয়ার ক্ষমতা কমে এলে খামরিরা প্রতিটি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি করে থাকেন। গতকাল সকালে করিমগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা:নাজমুল হাসান বলেন, খাল-বিল, নদী অধ্যুষিত এ এলাকা প্রাকৃতিক খাবারের প্রাচুর্য থাকায় হাঁস চাষের জন্যে এ এলাকা দারুণ উপযোগী। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে হাঁস পালনকারীদের পরামর্শ ও সহয়তা দেয়া হয়। ডিম ও হাঁসের ব্যাপক চাহিদা থাকায় লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় খামারিরা।