এফএনএস : হাওর অঞ্চলে জীবনমান উন্নত করতে সরকারের নেওয়া হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পগুলো আলোর চেয়ে অন্ধকারেই বেশি। রাস্তা হয়, বর্ষায় আবার তলিয়ে যায়। জীবনমানের উন্নয়নের জন্য হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল সবই দেওয়া হয়। কিন্তু এর প্রভাব কী, খোঁজ নেয় না কেউ। কিশোরগঞ্জের তারাইলের রৌটি গ্রামের বাসিন্দা আজহারুল ইসলাম লিটন।
৫৩ বছর বয়সী এই কৃষক হাওরের জীবনমান উন্নয়নের একটি প্রকল্পে তিনি আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। কিছুটা আয় বেড়েছে। কিন্তু যখন জটিলতায় আটকে যান, তখন কোনো কর্মকর্তাকে পান না। তার এলাকায় ২০১৮ সালে ক্ষুদ্র আয়বর্ধক কর্মসূচির আওতায় ৫০টি ছাগল বিতরণ করা হয়েছিল, কিন্তু পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারায় অধিকাংশ ছাগল বাঁচেনি।
যারা ছাগল বিতরণ করে গিয়েছিলেন, তারাও আর খোঁজ নেননি। আজহারুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমাদের যে ছাগলগুলো দেওয়া হয়েছিল। বর্ষাকালে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে অধিকাংশ ছাগলই মারা যায়। তবে ধান উৎপাদনে যে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম, তাতে কিছুটা কাজ হয়েছে। উৎপাদন সামান্য বেড়েছে। বর্ষাকালে হাওর এলাকায় ছাগলের খাবারের অভাব থাকে।
এগুলো বাঁচিয়ে রাখাও কষ্টকর। ওই সময় ছাগলের রোগবালাইও দেখা দেয়। চিকিৎসা করানো সম্ভব হয় না।’ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার হালদেরপুর গ্রামের শেখ মুকিত জানান, তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য আট পরিবারকে ১৬টি ছাগল দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে ছাগলগুলো সবগুলোই মারা যায়। সেগুলো চিকিৎসাও করানো সম্ভব হয়নি।