কটিয়াদী, প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার সহস্রাম ধুলদিয়া ইউনিয়নের সুতী নকলা গ্রামের রাজন আহমদ মাসুদ পিতা মাতার মনের আশা পূরণের জন্য দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন পার করে শুক্রবার ৩১ শে মে তার নিজ বাড়ির আঙিনা থেকে পিতা ও মাতা কে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে পার্শ্ববর্তী পাকুন্দিয়া উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের স্বৈরচনি গ্রামে বিবাহ সম্পন্ন করে পুনরায় হেলিকপ্টারে করে নববধূকে নিয়ে নিজ বাড়ি কটিয়াদিতে ফিরে আসেন। রাজন আহমেদ মাসুদ কটিয়াদী উপজেলার সহশ্রাম ধুলদিয়া ইউনিয়নের সুতি নকলা গ্রামের কৃষক মলু মিয়ার ছেলে।
রাজন আহমেদ মাসুদ বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তী পাকুন্দিয়া উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের স্বৈরচনি গ্রামের বিল্লাল হোসেনের মেয়ে সাদিয়া আক্তার প্রিয়াকে। সাদিয়া আক্তার প্রিয়া কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তার বর আহাম্মদ মাসুদ বলেন, দীর্ঘ পাঁচ বৎসর ধরে সৌদি আরবে দামাম এলাকায় প্রবাস জীবন শেষে দেশে আসেন। গত ৩১ শে মে মা-বাবার ইচ্ছে পূরণে নিজ বাড়ির আঙিনা থেকে পিতা-মাতাকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে পাকুন্দিয়া উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের স্বৈরচনি গ্রামে কনের বাড়িতে যান।
বিল্লাল হোসেনের মেয়ে সাদিয়া আক্তার প্রিয়াকে বিয়ে করে অনুষ্ঠান শেষে পুনরায় নববধূ ও পিতা-মাতাকে সঙ্গে নিয়ে নিজ বাড়ি কটিয়াদী উপজেলার সহশ্রাম ধুলদিয়া ইউনিয়নের সুতি নকলা গ্রামে ফিরে আসেন। রাজন আহমদ মাসুদের এই বিবাহকে কেন্দ্র করে এলাকায় কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। এ সময় রাজন আহমদ ও তার নববধূকে দেখার জন্য অসংখ্য লোকজন ভিড় জমায়। লোকজন বলেন, এখানে এটাই প্রথম কণের বাড়িতে বিয়ে করতে হেলিকপ্টারে চড়ে যাওয়া এবং বিয়ে শেষে পুনরায় নববধূকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চরে নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়া। এই বিয়ে যথেষ্ট চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এক প্রশ্নের উত্তরে রাজন আহমদ মাসুদ বলেন, আজ আমি আমার পিতা মাতার মনের আশা পূরণ করতে পেরে নিজেকে খুবই ধন্য মনে করছি এবং আমি উপস্থিত সবার কাছে দোয়া চাই, আমি যেন নববধূ ও মাতা পিতাকে নিয়ে সুখী হতে পারি।