হোসেনপুর প্রতিনিধি, মোহাম্মদ জাকির হোসেন :
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মারামারি মামলায় ৪ আসামিকে কারাগারে প্রেরণ
করেছে পুলিশ। গত বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিগত ৭ নভেম্বর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুলের ভোকেশনাল শাখার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাহসিন হাসান পূর্ণকে বিদ্যালয়ের ভিতরে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পৌর এলাকার দ্বীপেশ্বর এলাকার দুর্বৃত্তরা। তাহসীন সিদলা ইউনিয়নের টান সিদলা গ্রামের আল-আমিনের ছেলে। সে থেকে চরবিশ্বণাথ ও পৌর এলাকার দ্বীপেশ্বর-এ দু’গ্রাম বাসীর মধ্যে দফায় দফায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা লেগেই রয়েছে। এ নিয়ে এরই মধ্যে বিগত ১ ডিসেম্বর, ২৯ ডিসেম্বর ও ৩১ ডিসেম্বর হোসেনপুর বাজারে দফায় দফায় সংর্ঘষ চলে। এতে হোসেনপুর বাজারে চলাচল করা নিরপরাধ পথচারীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকানপাটে অকারণে ভাংচুর করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অকারণে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ রকম দাঙ্গা হাঙ্গামা লেগে থাকায় চরাঞ্চল ও বীর এলাকার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে আসছে। এ রকম পরিস্থিতে হোসেনপুর পুলিশ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে জেলা থেকে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরিশেষে বুধবার হোসেনপুর উপজেলা প্রশাসনের যৌথ সিদ্ধান্তে নরে রাজনৈতিক চাপে পুলিশ কোন আসামি গ্রেপ্তার করেনি। অবশেষে গত বুধবার রাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হোসেনপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খালিদ শেখ এর নেতৃত্বে বুধবার রাতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে তাঁদের গ্রেফতার করে ওই দিন রাতেই। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পৌর এলাকার পূর্ব দ্বীপেশ্বর গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. আল আমিন স¤্রাট (২৯), সিদলা ইউনিয়নের চর বিশ্বনাথপুর গ্রামের
মৃত নুর উদ্দিনের ছেলে মো.আলমগীর (২৮), একই এলাকার মো. আ. কদ্দুসের ছেলে বাবুল মিয়া (১৯), মো. ফজলুল হকের ছেলে মো. রুবেল মিয়া (৩৪)।
হোসেনপুর থানার ওসি (তদন্ত) লিমন বোস জানান, আমরা বাজারের ব্যবসায়ীদের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে কঠোর হতে বাধ্য হবো।