মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন

হোসেনপুরে গোপনে স্কুলের মালামাল বিক্রি করে দিলেন প্রধান শিক্ষক

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২ জুন, ২০২৪
  • ১১১ Time View

স্টাফ রিপোর্টার : হোসেনপুর উপজেলার ৪৬নং উত্তর পুমদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন লোহার বেঞ্চ, জানালার গ্রিল, টিউবওয়েল, পরিত্যক্ত জিনিসপত্রসহ মূল্যবান আসবাবপত্র গোপনে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয় অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

প্রধান শিক্ষকের এমন অনৈতিক কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জরুরি প্রতিকার দাবি করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, হোসেনপুর উপজেলার ৪৬নং উত্তর পুমদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের সময় পুরনো ভবন ভেঙে ফেলার কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সুবিধার্থে ঢেউটিন দিয়ে ক্লাসরুম তৈরী করা হয়। পরে নতুন ভবনের কাজ শেষ হওয়ায় টিনের তৈরী কক্ষ পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. মাহমুদা খাতুন গোপনে ও সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূতভাবে ওইসব টিন, টিউবওয়েলসহ পরিত্যক্ত মালামাল বিক্রি করে দেয়। এ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় লোকজন। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রধান শিক্ষক নিজেকে বাঁচাতে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেখানোর জন্য স্থানীয় ঢেউটিন ক্রেতা ও ভাঙারি ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে রাতারাতি কিছু টিন স্কুলের আঙ্গিনায় নিয়ে আসেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ভাঙারী ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ১২ হাজার টাকায় তিনি এসব পুরাতন টিন প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে কিনেছিলেন। তিনি এগুলো তার ঘরের চালায় লাগিয়ে ছিলেন। পরে এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগের খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষক আবার এগুলো তার কাছ থেকে ফেরত এনেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া জানান, পুরাতন স্কুলের বেড়ার সকল টিন তিনি বিক্রি করেছেন। এছাড়া সেখানে কিছু বেঞ্চ ছিলো। সেগুলোও উধাও। কোনো রকম টেন্ডার ও অ্যাকশন ছাড়াই তিনি এগুলো বিক্রি করেছেন।
অভিয্ক্তু প্রধান শিক্ষক মোছা. মাহমুদা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এগুলো মিথ্যা, বানোয়াট। এটি একটি বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্র। তিনি কোনো অনিয়মের সাথে কখনোই জড়িত নন।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. নুরুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে তদন্তের নির্দেশনা এসেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত শেষে রিপোর্ট জমা দেয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মজিব আলম জানান, স্থানীয় এলাকাবাসীর এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে হোসেনপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিন্দ্য মন্ডল জানান, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত রিপোর্ট প্রস্তুত করে অবগত করার জন্য বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আপডেট সংবাদ পেতে শতাব্দীর কন্ঠ পড়ুন, শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
All rights reserved © Shatabdir Kantha . Developed by SDTT Academy & Tech Liberty