প্রতিনিধি, হোসেনপুর, মো. জাকির হোসেন : কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ধান খেতে মাজরা পোকার আক্রমণে ধান গাছ ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। মাজরা পোকায় আক্রান্ত ধান খেত মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে ফলন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস স‚ত্রে জানা যায়, এবছর উপজেলায় ৬ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় মোট ৮ হাজার, চার শত ৭৬ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ করা হয়েছে।
সমস্যা সমাধানে কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং বা পরামর্শ দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ কৃষকদের। সরেজমিনে উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের জগদল, গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবিন্দপুর, মাধখলা, সিদলা ইউনিয়নের বালুয়াপুকুর পাড়, নামা সিদলা ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র।
হোসেনপুর উপজেলার মাজরা পোকার আক্রমণে ধান গাছগুলো মরা ও সাদাবর্ণ ধারণ করেছে। অনেক কৃষক দ্রæত ঔষধ দিয়ে তাদের ফসল কিছুটা রক্ষা পেলেও অনেকের খেত নষ্ট হওয়ার পথে। দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক বোরহান মিয়া শফিকুল ইসলাম, গোলাপ মিয়া ও দুলাল মিয়ার মত অনেক কৃষক জমিতে কীটনাশক স্প্রে করছিলেন। তারা জানান, চলতি বছর প্রায় ৮ কাটা জমিতে হাইব্রিড ও ব্রি ৪৯ ধানের চাষ করেছি।
অতিরিক্ত রোদ বৃষ্টির কারণে জমিতে ধান গাছের চারা তেমন ভাল হয়নি এখন শুরু হয়েছে মাজরা পোকার আক্রমণ। এবার যে হারে মাজরা পোকা ধরেছে, আগে কখনও এমনটা দেখা যায়নি। কৃষকরা জানান, মাজরা পোকার আক্রমণে ফসল ধ্বংসের মুখে। ফলন নিয়ে চরম উৎকন্ঠায় রয়েছেন কৃষক। কী ঔযধ প্রয়োগ করতে হবে তা ভেবে পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে পরামর্শ দিতে উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ মাঠ পর্যায়ে কাজ না করে শুধু অফিস করে চলে যান। ইউনিয়ন পর্যায়ে অফিস থাকলেও সেখানেও খুবই কম যান। যে জন্য অনেক কৃষক তাদেরকে চিনেই না, যে জন্য মাঠে পাচ্ছেন না কৃষকেরা। অনেক কৃষক নিজ উদ্যোগে বাজার থেকে ওষুধ কিনে জমিতে স্প্রে করলেও তা কাজে আসছে না।
এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন বলেন, আমরা কৃষককে পরামর্শ দিচ্ছি।
হোসেনপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহজাহান কবির জানান, মাঠে আমাদের নজরদারি আছে। চারা রোপনের আগে দানাদার বিষ প্রয়োগ করতে হয়।