পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : গত ৮ মে অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, কেন্দ্র দখল এবং সাংবাদিকদের জিম্মি করে ভোট ডাকাতির আভিযোগ করেছেন পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ রফিকুল ইসলাম রেনু।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে মোঃ রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন- পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ নির্বাচনে সম্পৃক্ত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পরিপন্থি কাজে লিপ্ত ছিলেন। উপজেলার সকল কেন্দ্রেই ভোট ডাকাতি, জাল ভোট প্রদান, প্রকৃত ভোটারদের প্রবেশ করতে না দেয়া এবং পেশী ও অর্থ শক্তি ব্যবহার করে সারা উপজেলায় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার বিরোধী তান্ডব চালানো হয়।
তিনি আরও বলেন- নির্বাচন বিরোধী অপতৎপরতার আভাস ও আশঙ্কার বিষয়য়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যথা সময়ে লিখিত অভিযোগ করার পরও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি আমি মোবাইলে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলেও কোন সাড়া পাইনি। সহকারী রির্টানিং অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মৌখিক অভিযোগ করার পরও আমাকে এক ঘণ্টা বসিয়ে রেখে জাল ভোট দেয়ার সুযোগ করে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম রেনু অভিযোগ করেন- স্থানীয় সংসদ সদস্যের সহযোগিতায় অপর প্রার্থীর পক্ষে প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার সহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাকে অনৈতিকভাবে প্রভাবিত করেন। সাংবাদিকদের জিম্মি রেখে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে ফলাফল পরিবর্তন করেছে। কন্ট্রোল রুম থেকে চেয়ারম্যান পদে তিনবার তিন ধরণের ফলাফল ঘোষণা দিয়েছে। চেয়ারম্যান পদে প্রদত্ত ভোট দেখিয়েছেন ৭০,৩৩৪, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রদত্ত ভোট ৭৫,৪১৬ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭০,২০৬ ভোট দেখিয়েছে। যা হিসেবে গড়মিল দেখা যাচ্ছে। তাই আমি চেয়ারম্যান পদের ভোট পুনঃ গনণা দাবি করছি।
উল্লেখ্য, পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এমদাদুল হক জুটন (আনারাস) ২৮,৭৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মোঃ রফিকুল ইসলাম রেনু (মোটরসাইকেল) ২৭,৭৯১ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।