স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রীয় নিয়ম অনুযায়ী কোন মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করলে নামাজে জানাজা’র আগে রাষ্ট্রীয় সম্মান (গার্ড অব অনার) দিতে হয়। রাষ্ট্রীয় সম্মান ছাড়া কোন মুক্তিযোদ্ধাকে দাফন করা যায় না। এবার সেই রাষ্ট্রীয় সম্মান না দিতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে চিঠি লিখেছেন মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হারিছ মিয়া। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া ফকিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা। ভারতীয় তালিকা নং-১২২৯২। যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া ফকিরপাড়া এলাকার।
সেই চিঠিতে লেখা রয়েছে, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসর প্রাপ্ত নায়েক সিগন্যাল অব বিজিবি। আপনার জ্ঞাতার্থে জানাইতেছি যে, মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুকালীন নামাজে জানাযার পূর্বে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের পক্ষ হতে রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘গার্ড অব অনার’ প্রদানকালে পুলিশদল কর্তৃক যে বিগনল (বাঁশি) বাজানো হয় ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় তাহা ইসলামিক রীতির সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক ও বেমানান বলে প্রতীয়মান হওয়ায় মৃত্যুর পূর্বেই আমি উক্ত ‘গার্ড অব অনার’ হতে অব্যাহতি চাই। তাছাড়া মহিলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যেন আমার নামাযে জানাযায় শরীক না হয়।
চিঠি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আলম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হারিছ মিয়া যেমন ইচ্ছা করবেন তেমনই হবে। এ বিষয়ে আমি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলবো।