মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪০ অপরাহ্ন
শিরোমান :
আওয়ামী লীগের অপতৎপরতার প্রতিবাদেপাকুন্দিয়ায় বিএনপি’র বিক্ষোভ ইজতেমা ময়দানে হত্যার প্রতিবাদেঅষ্টগ্রামে গণমিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ আশুতিয়াপাড়া শিক্ষা নিকেতনেরবার্ষিক সমাবেশ ও পুরষ্কার বিতরণ কিশোরগঞ্জে ট্রাই-ইউনিটি অ্যালায়েন্সের আয়োজনে বৃত্তি পরীক্ষা হোসেন স্পেশালাইজ্ড হসপিটালের ফ্রি ব্লাডগ্রুপিং ক্যাম্পেইন সুবীর বসাক এর এই দিনের ছড়া ‘মব ট্রায়াল’ পাকুন্দিয়ায় গার্মেন্টস কর্মী থেকেসফল নারী উদ্যোক্তা লাকী ব্যাটারি চুরি হওয়ায় মাইকভাড়া করে চোরকে গালিগালাজ পাকুন্দিয়া উপজেলা আইনশৃঙ্খলাকমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হোসেনপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনেরদায়ে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

বাজারের সেরা মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু

আবু হানিফ, প্রতিনিধি, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ)
  • Update Time : শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪
  • ১৫১ Time View

প্রতিনিধি, পাকুন্দিয়া : কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌর সদরের ছোট্ট একটি গ্রাম মঙ্গলবাড়িয়া। এ গ্রামটি লিচুর গ্রাম হিসেবে বিখ্যাত। লিচু চাষ করে এখানকার চাষীদের আর্থিক সচ্ছলতা এসেছে। চাষীদের মতে, প্রতিটি গাছে ১০ থেকে ১২ হাজার লিচু উৎপন্ন হয়ে থাকে এবং একেক মৌসুমে মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে প্রায় তিন-চার কোটি টাকার লিচু বিক্রি হয়ে থাকে।

স্থানীয় অধিবাসী জানান, মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে দুইশত বছর ধরে লিচু চাষ হয়ে আসছে। টকটকে লাল রং, বড় আকৃতি ও ছোট বীচি, সেই সাথে মিষ্টি স্বাদ- এই হচ্ছে মঙ্গলবাড়িয়া লিচুর বৈশিষ্ট্য। এ সমস্ত গুণের কারণেই এখানকার লিচু ইতিমধ্যে দেশে সুনাম কুড়িয়েছে। বাড়ি-ঘরের আঙিনা এবং রাস্তার দু’পাশে অবস্থিত গাছগুলো ছেয়ে গেছে লাল বর্ণের লিচুতে। চারিদিকে রাঙা লালের সমারোহ মুগ্ধ করছে যে কোন মানুষকে।

সারা দেশে এখানকার লিচুর চাহিদা কথা উল্লেখ করে মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু ক্রয়ের জন্য আগত ব্যবসায়ী শরীফ মিয়া বলেন, আমি একজন লিচু ব্যবসায়ী। এখান থেকে লিচু কিনে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বিক্রি করি। এখানকার লিচুর খুব চাহিদা সারা দেশেই।

লিচু বিক্রি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বি হওয়ার কথা উল্লেখ করে মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের লিচু চাষী মোখলেছুর রহমান বলেন, আমার বাগানে ৩০/৩৫টি লিচু গাছ আছে। এই লিচু বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছি। আমাকে দেখে অনেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে লিচু চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি হয়েছেন।

পাকুন্দিয়ার পৌর সভার মেয়র মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবাড়িয়ায় লিচু চাষের ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কোন উদ্যোগ নাই বলে চলে। যদি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সঠিকভাবে চাষীদের পরামর্শ ও তদারকি করতেন এবং লিচু চাষীদের ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা করে দিতেন তাহলে এ লিচুর ফলন আরো ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধি পেত।
মজার ব্যাপার হচ্ছে মঙ্গলবাড়ীয়া ছাড়াও পাকুন্দিয়ার প্রায় সবকটি ইউনিয়নে রয়েছে হাজার হাজার লিচু গাছ। পাকুন্দিয়া পৌর সদর ও হোসেন্দী ইউনিয়নেই সবচেয়ে বেশি। উপজেলার যেখানেই লিচু হউক না কেন এর নাম অবশ্যই ‘মঙ্গলবাড়ীয়া লিচু’।

প্রয়োজনীয় সরকারী ও বেসরকারী সহায়তা প্রদান করা হলে একদিকে যেমন এখানকার উৎপাদিত লিচুর আবাদ আরও সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে, সেই সাথে বিপণনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা গড়ে তোলা হলে পাল্টে যেতে পারে বলে স্থানীয় সুশীল সমাজের অভিমত।

আপডেট সংবাদ পেতে শতাব্দীর কন্ঠ পড়ুন, শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
All rights reserved © Shatabdir Kantha . Developed by SDTT Academy & Tech Liberty