বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৮ অপরাহ্ন
শিরোমান :
সুবীর বসাক এর এই দিনের ছড়া ‘গর্জে ওঠার পালা’ পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স: ১০ চিকিৎসকের বদলে আছেন মাত্র দু’জন কটিয়াদী বাজারে মধ্যরাতে আগুন: অর্ধকোটি টাকার ফার্নিচার পুড়ে ছাই আউয়ালসহ সকল সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি আওয়ামী লীগের অপতৎপরতার প্রতিবাদেপাকুন্দিয়ায় বিএনপি’র বিক্ষোভ ইজতেমা ময়দানে হত্যার প্রতিবাদেঅষ্টগ্রামে গণমিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ আশুতিয়াপাড়া শিক্ষা নিকেতনেরবার্ষিক সমাবেশ ও পুরষ্কার বিতরণ কিশোরগঞ্জে ট্রাই-ইউনিটি অ্যালায়েন্সের আয়োজনে বৃত্তি পরীক্ষা হোসেন স্পেশালাইজ্ড হসপিটালের ফ্রি ব্লাডগ্রুপিং ক্যাম্পেইন সুবীর বসাক এর এই দিনের ছড়া ‘মব ট্রায়াল’

তাড়াইলে গরমেও থেমে নেই শ্রমজীবী মানুষ

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪
  • ১১৭ Time View

প্রতিনিধি, তাড়াইল : সারাদেশের মতো তাড়াইলেও তীব্র গরমে শ্রমজীবী মানুষের কষ্টের মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ। জীবন-জীবিকার তাগিদে কড়া রোদ উপেক্ষা করেই দৈনন্দিন কাজে বের হতে হচ্ছে তাদের। চলমান এ তাপপ্রবাহে নাকাল হচ্ছেন শ্রমিক, খেটে খাওয়া দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। অসহ্য গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সড়কে মানুষের উপস্থিতিও থাকছে কম। অনেকে পূর্ণ সময়ের বদলে ঘণ্টা চুক্তিতে কাজ করছেন।

সরেজমিন গতকাল কথা হয়, বিল্ডিং নির্মাণ শ্রমিক আফতাব উদ্দিনের সাথে। তিনি বলেন, নির্মাণ শ্রমিকদের রোদ-তাপ দেখে কাজ হয় না। জানের ভয় থাকলেও চলে না, শুধু কষ্ট। সীমিত আয়ে সংসার চালানো দায় হয়েছে। ব্যয়ের সঙ্গে আয় চার আনাও বাড়েনি। এখন শেষ বয়সে এসে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শ্রমিক হুমায়ুন কবির বলেন, রোদের এতো তাপ! শ্রমিকরা বাইরে কাজ করতেই পারছেন না। ঘরের ভেতরে হলে কাজ করছেন। তবে বাসাবাড়ির নির্মাণকাজে সুবিধা হলো চাইলে একটু ধীরে করা যায়। সেক্ষেত্রে দিন বেশি লাগে। তাতে অবশ্য আয়ের পরিমাণ কমে আসে। কিন্তু কোম্পানির কাজে চাইলে দেরি করা যায় না। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে হয়।

উপজেলার তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়নের কালনা গ্রামের ধান শুকানোর কাজ করছিলেন রহিমা বেগম। তিনি বলেন, ৪৫ বছরের জীবনে কখনো এতো গরম দেখিনি। কাজের সময় গায়ে মনে হচ্ছে আগুনের উল্কা এসে পড়ছে। হোটেল শ্রমিক অজিদ বাবু বলেন, কাজ করে ৪০০-৫০০ টাকা পাই। আয়তো আগের মতোই আছে। তবে সময়ের সঙ্গে সংসারের ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। এখন গরম যতই বেশি হোক, ঘরে বসে থাকার উপায় নেই। পরিবার চালানোর জন্য প্রতিদিনই কাজ করতেই হবে।

তাড়াইল বাজার গোরস্থান মার্কেটে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন দিনমজুর শফিকুল ইসলাম। সঙ্গে ছিল টুকরি-কোদাল। তিনি জানান, এ জায়গায় অনেক দিনমজুর কাজের সন্ধানে ভোর থেকেই অপেক্ষা করেন। কিন্তু গত ৭-৮ দিন ধরে অনেকেই আসছেন না। উপজেলা সদর বাজারে অটো রিকশাচালক আল আমিন বলেন, গরমের কারণে মানুষ বাড়িঘর থেকে কম বের হচ্ছে। যে কারণে দিনের বেশিরভাগ সময় যাত্রী সংখ্যা হাতেগোনা। শুধু সকালের দিকে কিছু যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে।

আপডেট সংবাদ পেতে শতাব্দীর কন্ঠ পড়ুন, শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
All rights reserved © Shatabdir Kantha . Developed by SDTT Academy & Tech Liberty