প্রতিনিধি, নিকলী : আসন্ন ঈদুল আযহা’কে সামনে রেখে কোরবানীর জন্য বিশাল আকৃতির একটি গরু পালন করছেন কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়েনের সাহেবেরহাটি গ্রামের কৃষক রুস্তম আলী। রুস্তম আলী তার পালিত ষাঁড়ের নাম রেখেছেন কিং।
অনেকেই এই দানব আকৃতির ষাঁড়টিকে ‘ভাটির কিং’ বলে ডাকে। সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতার প্রায় ১১২০ কেজি বা ২৮ মণ ওজনের এই ষাঁড়টিকে প্রতিদিন ঘাস-ভুষি-কুড়া ইত্যাদি খাওয়ানো হয়। গরুটি দেখতে প্রতিদিন আশপাশের এলাকা থেকে অনেক লোক ভিড় করে থাকেন রুস্তম আলীর বাড়িতে।
‘ভাটির কিং’কে দেখতে আশা বজলুর রহমান (৬৫) বলেন, লোকমুখে রুস্ত আলীর ষাঁড়ের কথা শুনেছি, তাই আজ দেখতে এলাম। আমাদের হাওর এলাকায় এর আগে কোথাও আমি এত বিশাল আকার ষাঁড় দেখিনি।
গরুর মালিক রুস্তম আলী বলেন, চার বছর আগে ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটিকে কিনেছিলাম গ্রামীণ এক হাঠ থেকে, তখন বয়স ছিল ৮ মাস। বাচ্চা অবস্থা থেকেই গরুটিকে প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হচ্ছে, কোন কৃত্রিম খাবার দেওয়া হয়নি। রুস্তম আলী দম্পতির কোন সন্তানাদি না থাকায় ষাঁড়টিকে নিজের সন্তানের মত লালন পালন করে আসছেন। বর্তমানে এর ওজন প্রায় ১১২০ কেজি বা ২৮ মণ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
নিকলী উপজেলা সদর ইউনিয়নের পূর্ব গ্রামের মোঃ দুলাল মিয়া বলেন, রুস্তম আলীর বিশাল আকৃতির গরুটি আমি দেখে এসেছি। তিনি তার ষাড়টি বিক্রির জন্য ১২ লক্ষ টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আবু হানিফ শতাব্দীর কণ্ঠের প্রতিনিধিকে বলেন, গরুর মালিক রুস্তম আলী সব সময় আমাদের পরামর্শক্রমে লালন পালন করে আসছেন। তিনি কৃত্রিম কোন খাদ্য গরুকে খাওয়াননি। সব সময় প্রাকৃতিক খাদ্য খাইয়েছেন।
তিনি আরো বলেন এ বছর কোরবানি ঈদে আমাদের উপজেলায় মাংসের চাহিদা ৯ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টনের বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ১১ হাজার ৩৩৫ মেট্রিক টন। এতে আমাদের মাংসের চাহিদা পূরণ করেও ঢাকা সহ আশেপাশের বিভিন্ন হাটে গরু সরবরাহ করা যাবে।