রুহুল আমিন, প্রতিনিধি, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) : জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আওতায় সারা দেশের মতো আগামীকাল ১ জুন কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ২৭ হাজার ১৯৪ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ২ হাজার ৯৮২ জন শিশুকে খাওয়ানো হবে একটি করে নীল রঙের ক্যাপসুল। ১২-৫৯ মাস বয়সী ২৪ হাজার ২১২ জন শিশুকে খাওয়ানো হবে একটি করে লাল রঙের ক্যাপসুল।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে এডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে। আরও জানা যায়, তাড়াইল উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের সাবেক ২১টি ওয়ার্ডে অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র রয়েছে ১৬৮টি, স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র রয়েছে ১টি, স্বেচ্ছাসেবক সংখ্যা থাকবে ৩৩৮ জন, প্রথম সারির তদারকি ২১ জন, দ্বিতীয় সারির তদারকি থাকবে ৭ জন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য পরিদর্শক শাহনাজ পারভিন রোজী, আবাসিক মেডিকেল অফিসার সাহানুর রহমান শুভ, ডা. নরোত্তম দেবনাথ, ডা. আফসারী জামান আখি সহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাগণ এছাড়াও দৈনিক শতাব্দীর কন্ঠ পত্রিকার তাড়াইল উপজেলা প্রতিনিধি রুহুল আমিন ও দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকার তাড়াইল উপজেলা প্রতিনিধি ওয়াসিম উদ্দিন সোহাগ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমাছ হোসেন উপজেলা এডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভায় বলেন, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডায়রিয়া,নিউমোনিয়ার প্রকোপ কমায়, অন্ধত্ব দূর করে। এজন্য শিশুদেরকে বাড়ির পাশের কেন্দ্রে গিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। তবে অসুস্থ শিশুদের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন চলাকালে এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর পাশাপাশি জন্মের পরপর নবজাতককে শালদুধ খাওয়ানো, ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো, শিশুর ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমত ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বার্তা প্রচার করা হবে।