স্টাফ রিপোর্টার : কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ১০ বছরের জন্য ভ’মি ভাড়ার চুক্তিপত্র ও ফিসারী লিজ দেওয়ার পরেও অবৈধ ভাবে লিজের শর্ত ভঙ্গ করে গোপনে উক্ত ভ’মিম থেকে ৩.৩০ শতাংশ ভূমি অন্য ব্যক্তির নিকট সাফ কাওলা দলিল মূলে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এছাড়াও প্রতিবাদকারী লিজ গ্রহিতার প্রাণ নাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে মোঃ মোজাম্মেল হক নামে এক ব্যক্তি।
গতকাল রোববার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লিজ গ্রহিতা ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হক। তার বাড়ি পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা বাগপাড়া এলাকায়। অন্যদিকে অভিযুক্ত আবুল কালামও একই এলাকার বাসিন্দা। তিনি অবসরপ্রাপ্ত পেশকার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ব্যবসায়ী মোজাম্মেল বলেন, ২০১৯ সালের ১ মার্চ প্রতিবেশী অবসরপ্রাপ্ত পেশকার আবুল কালামের কাছ থেকে ৬৪ শতাংশ জমি ১০ বছরের জন্য বর্গা নেন। বর্গার চুক্তি অনুযায়ী ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা এককালীন পরিশোধ করেন। বর্গার ৬৪ শতাংশ জমির মধ্যে পাটুয়াভাঙ্গা দরগাবাজারে ৪৪ শতাংশ জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু জমির মালিক আবুল কালাম গোপনে চলতি বছরের ৩ মার্চ বর্গা দেওয়া জমির মধ্যে ৩.৩০ শতাংশ জমি অন্যত্র বিক্রি করে দেন। শুধু তাই নয়, গত ১৬ এপ্রিল জমির মালিকের নেতৃত্বে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন মোজাম্মেল। তিনি আরও অভিযোগ করেন, মামলা দায়ের করার পর থেকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাকে। এ অবস্থায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
জমির মালিক পেশকার আবুল কালাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বর্গার চুক্তিভঙ্গ করে বর্গা গ্রহীতা জমি অন্যত্র ভাড়া দিয়েছেন। ফলে তাকে উচ্ছেদের জন্য উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি। আর যে জমি বিক্রি করেছি, সেটা বর্গা গ্রহীতার সম্মতিতেই করা হয়েছে। বর্গা গ্রহীতার দোকানের যে অংশটুকু ভাঙা হয়েছে, সেটার উপযুক্ত ক্ষতিপ‚রণও তাকে দেওয়া হয়েছে।