বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোমান :
সুবীর বসাক এর এই দিনের ছড়া ‘গর্জে ওঠার পালা’ পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স: ১০ চিকিৎসকের বদলে আছেন মাত্র দু’জন কটিয়াদী বাজারে মধ্যরাতে আগুন: অর্ধকোটি টাকার ফার্নিচার পুড়ে ছাই আউয়ালসহ সকল সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি আওয়ামী লীগের অপতৎপরতার প্রতিবাদেপাকুন্দিয়ায় বিএনপি’র বিক্ষোভ ইজতেমা ময়দানে হত্যার প্রতিবাদেঅষ্টগ্রামে গণমিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ আশুতিয়াপাড়া শিক্ষা নিকেতনেরবার্ষিক সমাবেশ ও পুরষ্কার বিতরণ কিশোরগঞ্জে ট্রাই-ইউনিটি অ্যালায়েন্সের আয়োজনে বৃত্তি পরীক্ষা হোসেন স্পেশালাইজ্ড হসপিটালের ফ্রি ব্লাডগ্রুপিং ক্যাম্পেইন সুবীর বসাক এর এই দিনের ছড়া ‘মব ট্রায়াল’

তিনদিন ধরে হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন গৃহবধু লতিফা

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪
  • ১১০ Time View

স্টাফ রিপোর্টার : বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন লতিফা খাতুন (৫০) নামের এক গৃহবধু। দায়ের কোপে তাঁর মাথা, ঘাড় ও ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। লাঠির আঘাতে তার বাঁ হাতের কনুইয়ের নীচে ভেঙ্গে গেছে। তীব্র যন্ত্রণায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনদিন ধরে তিনি ছটফট করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেল চারটার দিকে।

লতিফা খাতুনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার পূর্ব সৈয়দগাঁও গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের রুহুল আমীনের স্ত্রী। এ ঘটনায় আহতের মেয়ে সুইটি আক্তার বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই ছয়জনের নাম উল্লেখ করে পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনো কোন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেতে পারেনি পুলিশ।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পাশের বাড়ির কাঞ্চন মিয়ার সঙ্গে বাড়ির সীমানা নিয়ে সুইটি আক্তারের পরিবারের বিরোধ চলছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। এরই জের ধরে গত শনিবার বিকেল চারটার দিকে কাঞ্চন মিয়া ও ফয়সাল মিয়ার নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দা, লাঠি ও লোহার রড নিয়ে সুইটি আক্তারদের বসতঘর ভাঙচুর করতে থাকে। এতে সুইটি আক্তার ও লতিফা খাতুন প্রতিবাদ করলে কাঞ্চন ও ফয়সাল তাদের দা দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

এ সময় তাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। সুইটি আক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। ঘটনার পরপরই হামলাকারীরা গা ঢাকা দিয়েছে।

বাদি সুইটি আক্তার বলেন, প্রতিবেশী কাঞ্চন মিয়া, ফয়সাল মিয়া, সুমাইয়া আক্তার, সালমা আক্তার, রাবেয়া খাতুন ও রোজিনা খাতুনসহ ৮ থেকে ১০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দা, লাঠি ও লোহার রড নিয়ে বাড়িতে ঢুকে আমাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে থাকে এবং বসতঘর ভাঙচুর শুরু করে। এতে আমি এবং আমার মা প্রতিবাদ করায় তারা আমাকে ও আমার মাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। মা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু (পিপিএম) বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে এসেছে। অভিযুক্তদের কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আপডেট সংবাদ পেতে শতাব্দীর কন্ঠ পড়ুন, শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
All rights reserved © Shatabdir Kantha . Developed by SDTT Academy & Tech Liberty