প্রতিনিধি পাকুন্দিয়া : পাকুন্দিয়ায় পৌরসভাা সৈয়দ গাও পূর্ব পাড়া সাবেক ফজলুল হক পল্টু কমিশনার বাড়ি জোরপূর্বক জমি দখল, ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগে দ্রæত বিচার আইনে কিশোরগঞ্জ আদালতে মামলা করেন। ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করেন, বিচার নালিশ করে কোন প্রতিকার পাচ্ছে না, প্রতিপক্ষ দখল নিতে একের পর এক চক্রান্ত করে হামলা ও লুটপাট করছে। এমনকি প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে।

গতকাল বিকেলে ভুক্তভোগী পরিবার নিরাপত্তা চেয়ে পাকুন্দিয়ায় মহিলা মডেল মাদ্রাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জমির মালিক কাতার প্রবাসী ইসলাম মিয়া স্ত্রী বিলকিস বেগম বলেন, গত (১ জুন) শনিবার দুপুর ১২টার দিকে পাকুন্দিয়া পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড সৈয়দ গাও পূর্ব পাড়া সাবেক ফজলুল হক পল্টু কমিশনার বাড়ি অবস্থিত টিনের ঘরে পূর্ব পরিকল্পিত বেআইনিভাবে জবর দখল নিতে বাড়িতে জোরপুর্বক প্রবেশ করে আমার বাড়ি নির্মাণ কাজে জন্য রক্ষিত রড়, সিমেন্ট, ইট সহ ৬ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায়, তাদের উপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।

এই জমি ও বাড়িটি মালিক ইসলাম মিয়া দীর্ঘদিন যাবত কাতর প্রবাসী থাকায় তার স্ত্রী বিলকিস বেগম নিরীহ পেয়ে প্রবাসী ইসলাম মিয়ার ভাই আসামী সৈয়দ মিয়া, তার ছেলে রাজিব, আজিদ, ও চাচাতো ভাই মজলু, জালাল উদ্দিন, শহিদ, জয়নাল, জোৎস্না লাবলী, লিপা সহ স্থানীয় প্রভাবশলী নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিলকিস বেগম কে উচ্ছেদ করতে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাড়িতে অতির্কিত হামলা চালিয়ে লুটপাট, ভাংচুর করা হয়।

এসময় বিলকিস বেগম তার মেয়ে নিশি আক্তার উপর লাঠি-সোঠা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে আহত করে সৈয়দের গং সমর্থকরা। তাদের বাঁচাতে আরও কয়েকজন ঘটনাস্থলে আসলে তাদেরকেও মারধর করে সন্ত্রাসী বাহিনী সৈয়দ লোকজন। এ ঘটনায় বিলকিস পক্ষের দুই জনকে আহত করে প্রায় ৬ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

তিনি দাবি করেন, বর্তমানে সৈয়দ মিয়া ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীর কারণে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং আমার বাবার বাড়ি উপজেলা সুখিয়া গ্রামে বসবাস করছি। আমি প্রতিপক্ষের বিভিন্ন ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষার জন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীর দ্বারস্থ হয়েছি। এ সময় ভুক্তভোগী বিলকিস বেগম, তার দুই মেয়ে ও ছেলে উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগ অস্বীকার করেন সৈয়দ মিয়া বলেন ঘটনা সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, যেহেতু আদালতে মামলা হয়েছে। সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।