শতাব্দী ডেস্ক : শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে জিতে ফাইনালে আসা নেপাল পারল না বাংলাদেশকে তেমন চ্যালেঞ্জ জানাতে। দ্বিতীয়ার্ধে তারা ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করল বটে, কিন্তু টুর্নামেন্ট জুড়ে দাপুটে বাংলাদেশকে আটকানোর জন্য তা যথেষ্ট হলো না। বঙ্গবন্ধু কাপ ইন্টারন্যাশনাল কাবাডিতে টানা চতুর্থ শিরোপা জিতল স্বাগতিকরা।
মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে সোমবার নেপালকে ৪৫-৩১ পয়েন্টে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে স্বাগতিকরা এগিয়ে ছিল ২৪-১০ পয়েন্টে। এই টুর্নামেন্টে শুরু থেকেই দুর্বার বাংলাদেশ। দক্ষিণ কোরিয়াকে ৬৭-২২ পয়েন্টে হারিয়ে প্রতিযোগিতা শুরুর পর মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ৭৩-২২ পয়েন্টে ও ইন্দোনেশিয়ার ৫৯-১৯ পয়েন্টে জিতেছিলেন আরদুজ্জামান-জিয়ারা।
নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে পোল্যান্ডকে ৭৯-২৮ পয়েন্টে হারিয়ে সেমি-ফাইনাল খেলা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। এরপর নেপালকে ৪৬-৩১ পয়েন্টে হারিয়ে টানা পাঁচ জয়ে গ্রæপ সেরা হয় তারা। সেমি-ফাইনালে থাইল্যান্ডকে ৪১-১৮ পয়েন্টে উড়িয়ে দেওয়া বাংলাদেশ এবারও উপহার দিল অনেকটা একতরফা ম্যাচ; যেখানে নেপাল তেমন একটা পাত্তাই পেল না।
২০২১ সালে প্রথম এই টুর্নামেন্ট শুরু হয়; কেনিয়াকে হারিয়ে সেইআসরের শিরোপা জিতে নেয় বাংলাদেশ। পরের বছরও কেনিয়াকে হারিয়ে মুকুট ধরে রাখে দল। ২০২৩ সালে চাইনিজ তাইপেকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরুতে ছিল একটু অন্যরকম আবহ।
অভিজ্ঞ রেইডার আরদুজ্জামান মুন্সি অবসরের সিদ্ধান্ত জানান। ফাইনালের প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আরদুজ্জামানকে পরিয়ে দেন পাগড়ি। শেষের বাঁশি বাজতেই আরদুজ্জামানকে কাঁধে তুলে নিয়ে উৎসবে মাতেন তার সতীর্থরা।