স্টাফ রিপোর্টার : পাকুন্দিয়ায় এক গৃহবধুকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ। গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার কোদালিয়া পূর্বপাড়া হাবিবের বাড়ি থেকে ওই দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে একই এলাকায় ওই গৃহবধু ধর্ষণের শিকার হন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার কোদালিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে হাবিব মিয়া (৫০) এবং কিশোরগঞ্জের কালটিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে জজ মিয়া (৪৫)। হাবিব মিয়া পেশায় একজন কৃষক ও জজ মিয়া পেশায় একজন অটোরিক্সা চালক বলে জানা গেছে।
পাকুন্দিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে ওই গৃহবধুকে পার্শ্ববতী কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে জজ মিয়া তার অটোরিক্সায় তুলে হাবিব মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যান। পরে হাবিব মিয়ার বাড়ির পেছনের একটি আঁখ ক্ষেতে নিয়ে তারা দুইজনে মিলে ওই গৃহবধুকে রাতভর ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। এতে ওই গৃহবধু অসুস্থ হয়ে পড়ে। গতকাল সকালে সেখান থেকে গৃহবধু নিজেই কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন।
খবর পেয়ে তার স্বামী হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে গৃহবধু তার স্বামীর কাছে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বলেন। পরে বিকেল পাঁচটার দিকে হাসপাতাল থেকে স্বামী গৃহবধুকে সঙ্গে নিয়ে অভিযুক্ত হাবিবের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে হাবিবের সঙ্গে জজ মিয়াকেও বসে থাকতে পান তারা। পরে এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনার এক ফাঁকে কৌশলে গৃহবধুর স্বামী মুঠোেেফানে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানান।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মুঠোফোনে পাকুন্দিয়া থানার ওসিকে ওই অভিয্ক্তুদের গ্রেফতারের নির্র্দেশ দেন। পাকুন্দিয়া থানার ওসি আসাদুজ্জামান টিটু দ্রুত হাবিবের বাড়িতে ছুটে গিয়ে সেখান থেকে অভিযুক্ত হাবিব ও জজ মিয়াকে গ্রেফতার করে পাকুন্দিয়া থানায় নিয়ে যান।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি আসাদুজ্জামান টিটু (পিপিএম) বলেন, এসপি স্যারের নির্দেশে অভিযুক্ত হাবিব মিয়ার বাড়ি থেকে হাবিব ও জজ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা দুজনই গৃহবধুকে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আজ তাদের আদালতে পাঠানো হবে।