স্টাফ রিপোর্টার : বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এম, এ, আফজল, দপ্তর সম্পাদক আহমেদ উল্লাহ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলাম নূরু।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার কামাল, শরীফ আহমেদ সাদী, কেন্দ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ডা. সুলতানা রাজিয়া, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিলকিছ বেগম ও শহর কৃষক লীগের সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ ।
বক্তারা বলেন, ঐতিহাসিক ৬ দফা’ কেবল বাঙালি জাতির মুক্তি-সনদ নয়, সারাবিশ্বের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস। জাতির পিতা ঘোষিত ৬ দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন নতুন মাত্রা পায়। বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা আদায়ের লক্ষ্যে এদিন আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে।
এতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, আবুল হোসেন, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহিদ হন। ছয় দফা-ভিত্তিক ১১ দফা ছিল ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের দাবিনামা। ছয় দফা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আসে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১১ দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সর্বশেষ বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে ৬ দফা একটি অনন্য মাইলফলক। ৬ দফার মাধ্যমেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির দাবি দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেন।
আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।