স্টাফ রিপোর্টার : সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে বিচার প্রার্থী হয়ে দ্বারে-দ্বারে ঘুরছে গৃহবধূ আল্পনা আক্তার। সন্ত্রাসীদের উপর্যুপরি আঘাত শরীরে বহণ করে বিচারের আশায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জোর দৃষ্টি কামনা করেছেন। সরেজমিন ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সদরের পৌরসভার নগুয়া ভাওয়ালী বাড়ি সংলগ্ন কৃষক আব্দুল কুদ্দুছ এর স্ত্রী মোছা: আল্পনা আক্তারের সাথে জমি-জমা নিয়ে একই বাড়ির সন্ত্রাসী আ: কাদির গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।
ঘটনার দিন সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বসত বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে মৃত মনির উদ্দিনের পুত্র মো: আ: কাদিরের হুকুমে নিরিহ আল্পনা আক্তার ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উচ্ছেদ করে দিতে উপর্যুপরি হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসী রুবেল মিয়া রুমল মিয়া, রাজন মিয়া, সুমন মিয়া, আব্দুল মোতালিব, পারুল আক্তার, শিমুল আক্তার, সাফিয়া আক্তার ও জরিনা আক্তারের উপর্যুপরি আঘাতে আল্পনা আক্তারের বাম হাতের তালুতে হাড়ভাঙ্গা জখম হয়। শরীরের অন্যান্য অঙ্গেও মারাত্মক নীলা-ফোলা জখম হয়।
গুরুতর আহত আল্পনা আক্তারকে হামলা থেকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে জখমী মোছা: আল্পনা আক্তার বাদী হয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলগ্রহণকারী আদালত-১ একটি মামলা করলে সংশ্লিষ্ট বিচারক বিষয়টি প্রাথমিক সত্যতা নিরূপনের নিমিত্তে পিবিআই কিশোরগঞ্জকে নির্দেশ প্রদান করেন। এ ব্যাপারে পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা পিন্টু কুমার রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উক্ত মামলার এমসি রিপোর্ট সহ হেড কোয়ার্টারে পাঠিয়েছেন।
রিপোর্ট হেড কোয়ার্টার থেকে আসার পর জেলা পুলিশ সুপারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য সন্ত্রাসীরা আল্পনা আক্তারকে এর পূর্বে আরো বেশ কয়েকবার হামলা করেছে বলে জানান আল্পনার মেয়ে মারিয়া আক্তার শান্তা। মামলা করায় বর্তমানে সন্ত্রাসীরা জানে মেরে ফেলার হুমকী-ধুমকী দিয়ে যাচ্ছে বলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নিরিহ পরিবারটি। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন মামলার বাদী আল্পনা আক্তার।