স্টাফ রিপোর্টার : ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামা স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন ১৮ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১১২ তোলে, তখন নিশ্চই কিউই অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন সুপার এইটে যাওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনা দেখছিলেন। কারণ আগের ম্যাচে হেরে যাওয়ায় নিউজিল্যান্ড ছিল ব্রাকফুটে।
কিন্তু তখনই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন শেরফান রাদারফোর্ড। শেষ দুই ওভারে একাই ব্যাট হাতে তুলে নেন ৩৭ রান। ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান নিকোলাস পুরানের মাত্র ১৭। ২০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৯ রান। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা হয় বাজেভাবে। পাওয়ার প্লের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে রান তোলে মাত্র ২৩। পঞ্চম উইকেট হারায় ৩০ রানে।
১৫০ রানের লক্ষ্যমাত্রায় ব্যাট করতে নেমে মন্থর উইকেটে কিউই ব্যাটাররা ব্যাট চালান আরও মন্থর গতিতে। প্রথম ৭ ওভারে ৪৫ রান তুলতে হারায় ৩ উইকেট, যার মধ্যে অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনও রয়েছেন। মাত্র ১ রান করে স্পিনার গুড়াকেশ মোতির বলে উইকেটকিপার নিকোলাস পুরানের হাতে ক্যাচ দেন উইলিয়ামসন।
ফিন অ্যালেন, ডেভন কনওয়ে, রাচীন রবীন্দ্র ও ড্যারেল মিচেল ফিরে যান দলীয় রান যখন ১১ ওভারে ৫ উইকেট ৬৩। এরপর একাই লড়ে গেছেন গেøন ফিলিপস। ৩৩ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডকে কিছুটা আশা দেখিয়েছিলেন তিনি। আলজারি জোসেফ বল হাতে নিয়েছেন ৪ উইকেট ১৯ রানে। মোতি নিয়েছেন ৩ উইকেট।
২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৬ রানে থামে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতে ১৩ রানে। টানা তৃতীয় জয়ে সুপার এইটে পৌঁছে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর টানা দুই হারে নিউজিল্যান্ড এখন বিদায়ের খুব কাছে। ‘সি’ গ্রæপে তাদের অবস্থান এখন পয়েন্ট তালিকার তলানিতে।
বেচারা ট্রেন্ট বোল্ট অসাধারণ বোলিং করেও থেকে গেলেন আড়ালে। অথচ ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এই কিউই বোলারের অসাধারণ স্পেলটি একবার দেখুন ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১৪৯/৯(২০), রাদারফোর্ড ৬৮*, পুরান ১৭, আকিল ১৫, রাসেল ১৪, শেফার্ড ১৩; বোল্ট ৪-১-১৬-৩, সাউদি ৪-০-২১-২, ফার্গুসন ৪-০-২৭-২।
নিউজিল্যান্ড : ১৩৬/৯(২০), ফিলিপস ৪০, অ্যালেন ২৬, রবীন্দ্র ১০, নিশাম ১০; জোসেফ ৪-০-১৯-৪, মোতি ৪-০-২৫-৩।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা : শেরফান রাদারফোর্ড।