স্টাফ রিপোর্টার : ইমামের বিতর্কিত বক্তব্যের জেরে সৃষ্ট অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে নিকলী উপজেলার ‘নিকলী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে’ দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গত (২১ জুন) শুক্রবার বাদ এশা এই ঘটনা ঘটে। এতে এক ব্যাংক কর্মকর্তা ও সাবেক সেনা সদস্যসহ একাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে একাধিক জুমায় বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়ে আলোচনা করে আসছিলেন আব্দুল মজিদ নামে মসজিদের নির্ধারিত ইমাম। সম্প্রীতি বিনষ্টের আশঙ্কায় মুসল্লিদের একাংশ বিতর্কিত বিষয়ে আলোচনা না করার আহŸান জানান। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উসকানিমূলক এসব আলোচনা চালাতে থাকেন তিনি।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা কমিটির একাধিক সদস্যের কাছে বিষয়টি অবগত করার পাশাপাশি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু এতে কোনো ফল না আসায় কেন্দ্রীয় মসজিদ ছেড়ে আশপাশের মসজিদে নামাজ আদায় করতে থাকেন মুসল্লিরা।
উসকানিমূলক আলোচনাসহ নানা কারণে ইমামের প্রতি বিরাগভাজন মুসল্লির সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় কমিটির একাধিক সদস্য বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেন। এরই ধারাবাহিকতায় (২১ জুন) শুক্রবার বাদ এশা আলোচনার সময় নির্ধারণ করে কমিটি এবং এতে অংশ নিতে মসজিদ ছেড়ে দেওয়া মুসল্লিদের আমন্ত্রণ জানান তারা।
নামাজের পর আলোচনা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে মসজিদের পাশের গ্রাম দোয়ারহাটির জালাল উদ্দীন জালু নামে এক ব্যক্তি স্বজনদের নিয়ে ইমামের প্রতি বিরাগভাজন মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায়।
এতে ব্যাংক কর্মকর্তা মাওলানা আব্দুল হান্নান ও বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সাবেক সদস্য মুতাসিম বিল্লাহ আকরামসহ একাধিক ব্যক্তি আহত হন।
মুসল্লিদের প্রতিরোধের মুখে হামলাকারীরা এক পর্যায়ে পিছু হটলেও পরবর্তীতে সন্তান-সন্ততি ও আত্মীয়-স্বজন নিয়ে আব্দুল হান্নানের বাড়িতে এবং এর কিছুক্ষণ পর মুতাসিম বিল্লাহ আকরামের বাড়িতে হামলা চালায় জালু।
খবর পেয়ে ঘটনার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে কেন্দ্রীয় মসজিদে আসেন সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কারার শাহরিয়ার আহমেদ তুলিপ। তিনি আহত ব্যাংক কর্মকর্তা মাওলানা আব্দুল হান্নানের বক্তব্য শুনেন এবং পরবর্তী জুমায় হামলার পেছনে জড়িতদের বিচারের আশ্বাস দেন।
এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার সিদ্ধান্ত নেন মুতাসিম বিল্লাহ আকরাম। তবে শাহরিয়ার আহমেদ তুলিপের সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাসে এখান থেকে সরে আসেন তিনি।