প্রতিনিধি তাড়াইল : ক্ষতিকর আফ্রিকান শামুকের প্রাদুর্ভাব নির্ম‚লে তাড়াইল কৃষি কর্মকর্তা সুমন কুমার সাহা’র কাছে অবহিতকরণ লিখিত চিঠি দিয়েছেন পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অরণ্য’র সভাপতি জেনাস ভৌমিক। এসময় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক শতাব্দীর কন্ঠ তাড়াইল উপজেলা প্রতিনিধি রুহুল আমিন।
গতকাল দুপুর ৩টায় তাড়াইল কৃষি কর্মকর্তা বরাবর ক্ষতিকর আফ্রিকান জায়ান্ট শামুকের প্রাদুর্ভাব, হুমকির মুখে কৃষি অবহিতকরণ চিঠিটি দেওয়া হয়। অবহিতকরণ লিখিত চিঠি থেকে জানা যায়, তাড়াইল উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ক্ষতিকর আফ্রিকান জায়ান্ট শামুকের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষ এই শামুকের ক্ষতি করার সক্ষমতা সর্ম্পকে অবগত নয়। এই শামুক বিশ্বের যেসব দেশে ছড়িয়েছে সেসব দেশের জীব বৈচিত্র্যে ও কৃষি ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। এরা ফসলের জন্য খুব ক্ষতিকর।
বাগান নষ্ট করে ফেলে। সন্ধ্যা হলেই ঝাকেঝাকে বের হয়ে আসে। আর দিনের বেলায় অত্যাধিক স‚র্যালোক থেকে বাচঁতে লুকিয়ে থাকে। অতি বৃষ্টির সময় এরা দালানের দেয়াল বেয়ে উপরে উঠে আশ্রয় নেয়। দালানের জন্যও এ শামুক ক্ষতিকর। এর মাংস খুবই শক্ত বিধায় পশু-পাখিরাও খেতে চায় না।
তাই অনেক দেশে এই শামুক শতভাগ নির্ম‚লের জন্য রীতিমত যুদ্ধ করছে। এর মধ্যে অন্যতম হল আমেরিকার ফ্লোরিডা, ভারতের কেরেলা এবং কর্ণাটক রাজ্যের কোদাগু জেলা। ভারতের কৃষক গত তিন দশক ধরে এই শামুকের সাথে রীতিমত যুদ্ধ করে আসছে। স¤প্রতি তারা সফলতার মুখ দেখতে পেরেছে। তারা এই শামুকের ব্যাপারে যে নীতি অনুসরণ করে তা হলো ‘ধর এবং মার’ নীতি।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরাও এই শামুক নির্ম‚লের ব্যাপারে মতামত দিয়েছেন। সরজমিনে দেখা যায়, নিরীহ এ প্রাণীটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। বিচিত্র নতুন প্রজাতির এ শামুকটি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু ছড়িয়েই পড়েনি, হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে উপজেলার কৃষি ব্যবস্থাকে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অরণ্য’র সভাপতি জেনাস ভৌমিক বলেন, শামুক হচ্ছে প্রাকৃতিক ফিল্টার। শামুক পরিবেশের বিশেষ বন্ধু হিসেবে পরিগণিত। আমাদের দেশীয় যে শামুক আছে সেটি উপকারী এবং তারা স্থলভ‚মিতে উঠে আসে না, বরং পানিতেই থাকে। কিন্তু আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক গাছপালা, লতাপাতা, ফলম‚ল খেয়ে ধ্বংস করে। যা আমাদের দেশের কৃষির জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ ।
তাড়াইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন কুমার সাহা বলেন, ক্ষতিকর আফ্রিকান জায়ান্ট শামুকের প্রাদুর্ভাব নির্ম‚লে অবহিতকরণ লিখিত চিঠিটি পেয়েছি। ইতিপ‚র্বে এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা ছিল না। উপজেলা কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেয়া হবে।