শামসুল আলম শাহীন ঃ সারা দেশের ন্যায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশের সুপ্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ উদযাপন করেছে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। দিবসটি উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে।
স‚র্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সকাল সাড়ে ৮টায় দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. এম. এ. আফজল, দপ্তর সম্পাদক ও কৃষক লীগের সভাপতি আহমেদ উল্লাহ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিলকিছ বেগম, শহর কৃষক লীগের সভাপতি মো. আলমগীর হোসেনসহ দলীয় ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিকাল ৩টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুর) আসনের এমপি ডা. জাকিয়া নূর লিপির নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। র্যালীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত প্লে কার্ড, নানা রঙের ব্যানার, ফেস্টুন, ব্যান্ড পার্টি, ঘোড়ার গাড়ি (টমটম) সহ নেতাকর্মীরা নানা সাজে সজ্জিত হয়ে বর্ণাঢ্য র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। র্যালিতে নানা ¯েøাগানে ¯েøাগানে মুখরিত হয়ে ওঠে জেলা শহরের রাজপথ।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, সহ সভাপতি বিজয় শংকর রায় ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট নূরুন্নবী বাদল, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এম. এ. আফজল, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, দপ্তর সম্পাদক ও জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আহমেদ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বুকল, পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আওলাদ হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ সাদী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিলকিছ বেগম, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, শহর কৃষক লীগের সভাপতি মো. আলমগীর হোসেনসহ যুব লীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, তাঁতী লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ সহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। আর ‘প‚র্ব পাকিস্তান’ শব্দ দুইটি বাদ পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে। বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে প্রবাসী সরকারের সব কাগজপত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নাম ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৭০ সাল থেকে এই দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। পরবর্তী সময়ে দেশের অন্যতম প্রাচীন এই সংগঠনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এদেশের গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বের জন্যই আওয়ামী লীগকে ৭০’-এর নির্বাচনে প‚র্ব-বাংলার মানুষ তাদের মুক্তির ম্যান্ডেট দিয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই ভ‚খন্ডে প্রতিটি প্রাপ্তি ও অর্জন সবই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে। মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাঙালির অর্জন এবং বাংলাদেশের সকল উন্নয়নের ম‚লেই রয়েছে আওয়ামী লীগ।