শতাব্দী ডেস্ক : অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশী নাগরিকরা তাদের আয় থেকে গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত মোট ১৩০.৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেন। গতকাল সোমবার তিনি সংসদে টেবিলে উপস্থাপিত স্বতন্ত্র সদস্য আবদুল কাদের আজাদের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
তিনি জনান, ভারতীয় নাগরিকরা ৫০.৬০ মিলিয়ন ডলার, চীনা নাগরিকরা ১৪.৫৬ মিলিয়ন ডলার, শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা ১২.৭১ মিলিয়ন ডলার, জাপানী নাগরিকরা ৬.৮৯ মিলিয়ন ডলার, কোরিয়ার নাগরিকরা ৬.২১ মিলিয়ন ডলার, থাইল্যান্ডের নাগরিকরা ৫.৩০ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা ৩.৫৯ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের নাগরিকরা ৩.২৪ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা ৩.১৭ মিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়ার নাগরিকরা ২.৪০ মিলিয়ন ডলার এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকরা ২১.৯২ মিলিয়ন ডলার নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ব্যাংকের পাওনা ৫১ হাজার কোটি টাকা: দেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পাওনা ৫১ হাজার ৩৯১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, চলতি বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পাওনার পরিমাণ ৫১ হাজার ৩৯১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা (প্রায়)। অর্থমন্ত্রী রাষ্ট্রায়ত্ত ৫৬টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা দিয়েছেন।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওনা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেনের (বিএডিসি) কাছে, পরিমাণ প্রায় ১৫ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। এছাড়া বড় অংকের টাকার মধ্যে চিনিকলগুলোর কাছে পাওনা প্রায় সাত হাজার ৮১৩ কোটি টাকা। সার, রাসায়নিক ও ওষুধ শিল্পের প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পাওনা সাত হাজার ২৫০ কোটি টাকা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কাছে পাওনা পাঁচ হাজার ১৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ বিমানের কাছে পাওনা চার হাজার ৪৪১ কোটি টাকা।