প্রতিনিধি, করিমগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় গত এক সপ্তাহ ধরে বেড়েছে লোডশেডিং। দিনে ও রাতের বেলায় গড়ে ১৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। এ অবস্থায় ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎতের উপর নির্ভরশীল ব্যবসায়ীরা। ভোগান্তি বেড়েছে জনজীবনে। ঘনঘন লোডশেডিংয়ে ব্যাহত হচ্ছে আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পড়ালেখাও। এদিকে বিদ্যুৎতের এমন টালবাহানায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
কম্পিউটার দোকান ব্যবসায়ী আল-মামুন বলেন, কয়কদিন ধরে লোডশেডিং বেড়ে গেছে। যখন মানুষের বিদ্যুৎ দরকার, তখন বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। তাছাড়া ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য অনেকের বাসা-বাড়ির ইলেকট্রনিক মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, চাকরী আবেদনসহ অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করে থাকেন মার্জিয়া কম্পিউটার দোকানে কর্ণধার আল মামুন।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ কখন আসে কখন যায় বলা মুশকিল। শুক্রবার ২৮ জুন বিকালে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে করিমগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম (চ:দা:) মোহাম্মদ আখতার উজ্জামান বলেন, জাতীয় ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় সরবরাহ করা হচ্ছে কম। যে কারণে এমন লোডশেডিং হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হবে। বিস্তারিত জানতে চাইলে অফিসে আসেন বলে ফোন কেটে দেন তিনি।