প্রতিনিধি তাড়াইল : পাটের আঁশ ছাড়ানো ও রোদে শুকানোর কাজে ব্যস্ত তাড়াইল উপজেলার কৃষক-কৃষাণীরা। আবহাওয়া কিছুটা অনুক‚লে থাকায় এ বছরও সোনালি আঁশ পাটের ফলন ভালো হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ হয়েছে বেশি জমিতে।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাটের দাম কম হওয়ায় কৃষকেরা পড়েছেন বিপাকে। এদিকে কৃষকেরা এখন পাট কাটা, পানিতে ডোবানো ও ধোয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেকে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর পর শুকিয়ে বাজারে বিক্রি করছেন।
তাড়াইল উপজেলা কৃষি অফিস স‚ত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে এ বছর ৮১৯ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ৮২০ হেক্টর জমিতে। দেশী ১১৫, তোষা ৬০, কেনাফ ৪৪০, মেছতা ২৫। উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তাগণ কাঙ্খিত লক্ষ্য মাত্রায় পৌঁছাতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
উপজেলার জাওয়ার ইউনিয়নের বেলংকা গ্রামের কৃষক আবদুল গণি (৬৪) সে তার স্ত্রী জায়েদা বেগম (৫৫) কে নিয়ে জাগ দেওয়া পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ করতে ছিলেন। তিনি জানান, গত বছর পাটের দাম কিছুটা ভালো ছিল। সেই আশায় এ বছরও সাত কাটা জমিতে পাটের আবাদ করেছিলাম।
তবে এ বছর বৃষ্টি কম হয়েছে। বৃষ্টি বেশি হলে পাটের মান আরো ভালো হতো। গাছ মোটাতাজা হতো। এতে আঁশ ও বেশি পাওয়া যেত, কৃষকেরা দামও ভালো পেতেন। তিনি আরও বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর পাটের দাম তুলনামুলক কম, আমি আগের বছরের চেয়ে এ বছর প্রায় তিন কাঠা বেশি জমিতে পাট চাষাবাদ করেছি। হালচাষ, সার-বীজ, সেচ-নিড়ানি, পাট কাটা, ধোয়া শুকানোয় অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন কুমার সাহা বলেন, তাড়াইল উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ৮১৯ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ৮২০ হেক্টর জমিতে।
তবে এবছর পাটের দাম তুলনামুলক কম হওয়ায় চাষিরা কিছুটা হতাশ, সামনে দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন যদি চাষিরা পাট সংরক্ষণ করে তবে সামনে ভালো দাম পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।