এফএনএস : জামালপুর জেলায় দীর্ঘ ৯ দিন ধরে বন্যার পানিতে ভাসছে মানুষের জীবন। এরমধ্যেই আবারও পানি বাড়তে শুরু করেছে যমুনায়। গতকাল বৃহস্পতিবার পাওয়া তথ্য মতে, ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা গত বুধবার বিকেলে ছিল বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটারে।
জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে ছয়টির ৪২টি ইউনিয়নের আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে ৩ হাজার বানভাসি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এখনও বিভিন্ন সড়কে পানি উঠে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে যোগাযোগ। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। দেখা দিয়েছে খাদ্যসহ বিশুদ্ধ পানির সংকট। আর গবাদিপশু নিয়ে সড়কসহ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন বানভাসিরা।
বানভাসিদের জন্য ২ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্রসহ ২২টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তিন হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২ জুলাই থেকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু সেই পানি কমে গিয়ে গত বুধবার পর্যন্ত ৫৯ সেন্টিমিটার ছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার আবারও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সামনে আরও পানি বাড়তে পারে। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি ত্রাণসহায়তা হিসেবে ৭০০ টন চাল, ১০ লাখ টাকা ও ৪ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪৮০ টন চাল, ৬ লাখ টাকা ও ৪ হাজার ৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে ২৩০ টন চাল, ৪ লাখ টাকা ও ৪৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুত আছে।