স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ : শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের অন্যান্য থানার মতো কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানাও হামলার শিকার হয়। হামলায় ভাঙচুর করা হয়েছে থানার ভেতর ও বাহিরে। থানায় রাখা পুলিশের পিকআপ, গোলঘর, ভবনের জানালার গ্লাস ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে পড়েছিল। থানার ভেতর-বাহিরে জমে ছিল ময়লা আবর্জনার স্তুপ।
সোমবার (১২ আগষ্ট) দুপুরে সেই সব ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, রবিবার দিন থানা পরিষ্কারের উদ্যোগ নেন শিক্ষার্থীরা। পরিস্কারের কাজে অংশ নিয়েছে সদর থানা এলাকার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা স্বতঃস্ফুর্তভাবে পরিস্কার কর্মসূচিতে অংশ নিয় থানাকে ঝকঝকে করে তুলেছেন। এসময় পুলিশ সদস্যদের থানায় ফিরে আসতে অনুরোধ জানায় তারা।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আশিকুজ্জামান আশিক বলেন, রবিবার আমি থানায় এসে দেখি কয়েকজন সেনা সদস্য ভাঙ্গা কাঁচের উপর তুষক দিয়ে শুয়ে আছেন। বিষয়টি দেখে খুবই খারাপ লেগেছে, সাথে সাথে উদ্যোগ নিয়েছি শিক্ষার্থীদের নিয়ে থানা পরিষ্কার করবো। আজকে সকলকে নিয়ে থানা পরিস্কার করেছি। সরকারি এই প্রতিষ্ঠান পরিস্কারে অংশ নিয়ে ভালো লেগেছে। থানার কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। আশা করছি আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা দ্রুত তাদের কর্মস্থলে ফিরে আসবে। পুলিশ সদস্যদের আমরা অনুরোধ করছি আপনারা থানায় ফিরে আসুন। আমাদের নিরাপত্তা দেন। আপনাদের ছাড়া আমার শহর নিরাপদ না।
শিক্ষার্থী উমর ফারুক বলেন, আমাদের ছাত্র আন্দোলনে থানার অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ছাত্রদের ব্যবহার করে দুষ্কৃতিকারীরা থানায় ভাঙচুর চালিয়েছে। আমরা থানা পরিষ্কার করেছি। এই আন্দোলনের আগে পুলিশকে মানুষ অনেক ভয় পেয়েছে। আমরা চাই নতুন রূপে পুলিশ সত্যিকারে জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করবে এবং শিক্ষার্থীরা পুলিশ সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে ভয়কে জয় করে সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিকেলে বিক্ষুব্ধ জনতা থানায় আক্রমণ করে ভেতর-বাহিরে ভাঙচুর চালায়। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছাড়ে পুলিশ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সকল পুলিশ সদস্য চলে যায়, অবস্থান নেয় সেনাবাহিনী। সেদিন থেকে থানায় কোন পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি নেই। সেনাবাহিনী সব কিছু দেখাশুনা করছে।