স্টাফ রিপোর্টার : পাকুন্দিয়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগের তিন নেতাসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাজিব, জাঙ্গালীয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. নাসির উদ্দীন ও একই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী আব্দুর রহমান পিয়েলও রয়েছেন। আহতরা পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পাকুন্দিয়া পৌর শহরের ঈশাঁখা রোডে অগ্রণী ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে পৌর শহরের নামাবাজার এলাকার চরফরাদী সড়ক থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা একটি মিছিল নিয়ে বের হন।
মিছিলটি সোনালী ব্যাংকের সামনে গিয়ে পৌঁছলে ছাত্রলীগ ওই মিছিলে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পরে দুই পক্ষই লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং মুহুর্মুহু ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। ঘন্টাব্যাপি এ সংঘর্ষের কারণে পাকুন্দিয়া পৌর বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু (পিপিএম) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০-১২ জনের মতো আহত হয়েছে বলে শুনেছি। খবর পেয়ে পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।